insta logo
Loading ...
×

২ সপ্তাহে ২০ টি ছাগল ‘হ*ত্যা’,ঝালদার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে অজানা বন্যপ্রাণ!

২ সপ্তাহে ২০ টি ছাগল ‘হ*ত্যা’,ঝালদার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে অজানা বন্যপ্রাণ!

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝালদা:


মাত্র দুই সপ্তাহে প্রায় ২০টি ছাগলের রহস্যজনক মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়া ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা রেঞ্জের একাধিক গ্রামে। কখনও গভীর জঙ্গলে, কখনও আবার সরাসরি গৃহস্থের গোয়ালঘরে হানা দিয়ে ছাগল ‘খুন’ করছে অজ্ঞাত বন্যপ্রাণী। কোথাও অর্ধেক খাওয়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে জঙ্গলে। কোথাও আবার রক্ত শুষে নেওয়ার পর গোয়ালেই ফেলে রাখা হচ্ছে দেহ।

কাঁটাডি, মহাদেবপুর, গোপালপুর, হুসেনডি, গুটিলোয়া ও ছাতমঘুটু গ্রামে ইতিমধ্যেই ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, হামলাকারী প্রাণীটি বিড়াল প্রজাতির হতে পারে। তবে সঠিক পরিচয় এখনও অজানা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে পাঁচটি অত্যাধুনিক ট্র্যাপ ক্যামেরা। পুরুলিয়া বনবিভাগের দায়িত্বে থাকা
কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের ডিএফও মুদিত কুমার জানিয়েছেন, “ক্যামেরায় আপাতত কেবল গোল্ডেন জ্যাকেল ও খরগোশের ছবি ধরা পড়েছে। কিন্তু এই আক্রমণগুলি জ্যাকেলের পক্ষে সম্ভব নয়। হামলাকারীর পরিচয় জানতে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, কয়েক বছর আগে দক্ষিণবঙ্গে পরিচালিত জীব বৈচিত্র্য অনুসন্ধান রিপোর্টে পুরুলিয়ায় চিতা বাঘ, ডোরাকাটা হায়েনা ও নেকড়ের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছিল। ফলে বর্তমান হামলাগুলি চিতা বাঘের কাজ হতে পারে বলে ধারণা জোরদার হচ্ছে। কারণ হামলার ধরণ ও পায়ের ছাপ বিড়াল প্রজাতির দিকেই ইঙ্গিত করছে।
তবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সম্ভাবনা আপাতত উড়িয়ে দিচ্ছে বন দফতর। তাঁদের মতে, বাঘ সাধারণত বড় আকারের গবাদিপশুর উপর হামলা চালায়। এখনও পর্যন্ত ছাগল ছাড়া অন্য কোনও প্রাণীর উপর আক্রমণ হয়নি।
ঝালদার গ্রামগুলিতে রাত নামলেই এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বনকর্তাদের একাংশের কথায়, “চিতা বাঘ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে ছবি না ধরা পড়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

Post Comment