insta logo
Loading ...
×

হাসপাতালেই নির্যাতিতা রোগী! সুরক্ষার দাবিতে উত্তাল বান্দোয়ান

হাসপাতালেই নির্যাতিতা রোগী! সুরক্ষার দাবিতে উত্তাল বান্দোয়ান

নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দোয়ান:


হাসপাতালে রোগীর পরিজনকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে ক্ষোভে উত্তাল বান্দোয়ান এলাকা। অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী ইলামুল হককে রবিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আদালতে।

ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার রাতে। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় ওই হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।
বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজিরাম মুর্মু অবশ্য জানিয়েছেন, “কার মনে কি আছে, তা আগে থেকে বোঝা যায় না।”

পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অপুষ্টিজনিত কারণে সন্তানের চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি বান্দোয়ান গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্গত পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি হন এক গৃহবধূ। অভিযোগ প্রথম দিন থেকেই অভিযুক্ত কর্মী ইলামুল হক তাকে কু’নজরে দেখছিলেন। আপত্তি জানানোর পরেও শুক্রবার রাতে খাবার দেওয়ার অজুহাতে এক ফাঁকা ঘরে ডেকে তাকে জড়িয়ে ধরেন ওই কর্মী। এতে হতবাক হয়ে যান ওই মহিলা। পরের দিন তিনি বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানান এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রের গেটে তালা ঝুলছে। অথচ শনিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে কয়েকজন শিশু ও তাদের পরিবার উপস্থিত ছিলেন। এলাকায় প্রশ্ন উঠেছে—শ্লীলতাহানির খবর প্রকাশ্যে আসতেই কি আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়েছেন মায়েরা? যদিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, “মনসা পূজো উপলক্ষে আগেই দু’দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।”

তবে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ঘটনাটি এলাকাজুড়ে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। তাদের দাবি, দ্রুত হাসপাতালের রোগীদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেই সঙ্গে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান বান্দোয়ানের মানুষজন।

Post Comment