নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :
কোলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ফের শিরোনামে রঘুনাথপুর পুরসভা। হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল এই পৌরসভায় রাজ্য প্রশাসনের নিয়োগ করা প্রশাসক। রায়ের খবর চাউর হতেই বিজেপি নেতৃত্ব প্রত্যেককে মিষ্টিমুখ করান।
এর আগে রঘুনাথপুর পুরসভায় ডাকা হয় অনাস্থা৷ নিয়ম হলো অনাস্থার জেরে ডাকতে হবে তলবি সভা। আর সেই তলবি সভা হওয়ার আগে বিরোধীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পথে রঘুনাথপুর পুর বোর্ড ভেঙে প্রশাসক বসিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন এই পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলার দীনেশ শুক্লা। সেই মামলাতেই নির্দেশ এসেছে বাতিল করতে হবে প্রশাসক।
বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আটকাতে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পথে রাজ্য সরকার রঘুনাথপুর পুর বোর্ড ভেঙে দিয়েছিল। এই রায়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার জয়ী হলো।”
এই পুরসভায় মোট ১৩ টি ওয়ার্ড । ২০২২ পুর নির্বাচনে তৃণমূল ১০,
কংগ্রেস ২ ও বিজেপি ১ টি
আসনে জয়লাভ করে। পৌরপ্রধান হন তৃণমূলের তরণী বাউরি।
গত ২৪ এপ্রিল তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন শাসক দলের ৬ ও কংগ্রেসের ১ কাউন্সিলার মিলিয়ে মোট ৭ জন। নিয়ম, পুরপ্রধান
ও উপপুরপ্রধান অনাস্থার সভা ডাকবেন। তাঁরা সভা না ডাকলে অনাস্থার পক্ষে থাকা সদস্যরা তলবি সভা ডাকেন। সেই তলবি সভা ডাকা হয় মে মাসের ২১ তারিখ। কিন্তু তার আগেই ১৯ মে রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক বিভাগ রঘুনাথপুর পুর বোর্ড ভেঙে দিয়ে রঘুনাথপুর মহকুমা শাসককে প্রশাসক পদে বসিয়ে দেয়। ২০ মে তৃণমূল পুরপ্রধান তরণী বাউরির কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক বিবেক পঙ্কজ।
এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলার।
Post Comment