নিজস্ব প্রতিনিধি, বরাবাজার:
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার এবং বরাবাজার থানার সক্রিয় সহযোগিতায় অবশেষে নিজের পরিবারের কাছে ফিরলেন বর্ধমান জেলার বাসিন্দা বধির বৃদ্ধা রানী মান্ডি। তাঁর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এক বৃদ্ধা মহিলাকে বরাবাজার শহরের এক দোকানের সামনে উদভ্রান্তের মতো ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। ভাস্কর মাহাতো নামক এক দোকানদার ওই মহিলার আচরণে সন্দেহ হওয়ায় দ্রুত এলাকার মানুষজনকে খবর দেন। সঞ্জয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু রানী মান্ডি বধির হওয়ায় কথোপকথন সম্ভব হয়নি। তিনি লিখতেও পারেন না। ফলে নিজের পরিচয় জানানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

ওই বৃদ্ধার ব্যাগ তল্লাশি করে কিছু ট্রেন ও বাসের টিকিট, নগদ অর্থ, একটি থলি পাওয়া যায়। এরপর বরাবাজার থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। পরে থানায় এনে বিস্তারিত খোঁজ শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রানী মান্ডির ছবি ও তথ্য ছড়িয়ে পড়লে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়। পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান থানার অন্তর্গত কেঁদা পাড়ার বাসিন্দা সমীরকুমার মান্ডি থানায় এসে জানান, ওই মহিলা তাঁর পিসিমা। যিনি বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। কিছুদিন আগে সমীরের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। ভুলবশত অন্য একটি বাসে উঠে পড়ায় তিনি নিখোঁজ হয়ে পড়েন।
পরিবারের হাতে রানী মান্ডিকে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এক হৃদয়স্পর্শী পুনর্মিলনের সাক্ষী থাকে বরাবাজার থানা। রানী মান্ডির পরিবার বরাবাজার থানার পুলিশ ও এলাকার মানুষজন যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।
তাদের বাহবা জানান।
Post Comment