insta logo
Loading ...
×

সরস্বতী প্রতিমা ভেঙে, খুনে দোষী সাব্যস্ত ১১

সরস্বতী প্রতিমা ভেঙে, খুনে দোষী সাব্যস্ত ১১

নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর:

সাড়ে এগারো বছরের প্রতীক্ষার অবসান। সরস্বতী প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, চার জনকে রক্তাক্ত জখম এবং এক জনকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রিয়ব্রত চট্টোপাধ্যায় ১১ জনের সাজা ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ৭ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রের খবর, সাজাপ্রাপ্তরা সকলেই সাঁওতালডিহি থানার অন্তর্গত ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা। শহীদ আনসারি, গিয়াসউদ্দিন আনসারি, জলিমুদ্দিন আনসারি, খুরশীদ আনসারি ও ফিরদৌস আনসারিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ’মাসের সাজা ভোগ করতে হবে তাঁদের। এফাজ আনসারি, রেজাউল আনসারি ও তাজউদ্দীন আনসারির পাঁচ বছরের জেল ও ছ’হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কাসেম আনসারি, লাধাম আনসারি ও সুলতান আনসারির এক বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক হাজার টাকা জরিমানা ধার্য হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাঁদের এক মাস জেলে কাটাতে হবে।

২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাত। ভবানীপুর গ্রামে চলছিল সরস্বতী প্রতিমার নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গ্রামের এক প্রান্তে আচমকাই কয়েক জন মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। শুরু হয় বচসা। মুহূর্তেই তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। শোভাযাত্রায় থাকা লোকজনের উপর লাঠি, কুড়ুল, ইট-প্রস্তর নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর হয় প্রতিমা। রক্তাক্ত জখম হন শোভাযাত্রায় থাকা চার জন। তাঁদের মধ্যে গণপতি মাহাতোকে চেলিয়ামার বান্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিপদ মাহাতোকে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার পরেই মৃতের ছেলে উমেশ মাহাতো সাঁওতালডিহি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। ৯০ দিনের মধ্যেই ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি চার্জ গঠন হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি। প্রায় ৮ বছর ধরে চলা শুনানির শেষে বুধবার আদালত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। বৃহস্পতিবার ঘোষণা হয় সাজা।

Post Comment