নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া:
কোথাও ঝিরিঝিরি কোথাও ঝমঝম। ভিজল পুরুলিয়ার বহু অংশ। রবিবার জেলায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৩.২৫ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের তারতম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে নিতুড়িয়ায়—৪৩.৪ মিলিমিটার। বরাবাজারে হয়েছে ২৬ মিলিমিটার, হুড়ায় ২১.৪ মিলিমিটার, কাশিপুরে ১৬.৪ মিলিমিটার, সাঁতুড়িতে ১২.৪ মিলিমিটার এবং পুঞ্চায় ১১.৮ মিলিমিটার। মানবাজার (১০ মিমি) ও জয়পুর (১০.৩ মিমি) ভিজলেও হাতোয়াড়া, ঝালদা, বাঘমুন্ডি, বলরামপুর ও পাড়ায় বৃষ্টির পরিমাণ সীমিত ছিল ৩ থেকে ৫ মিলিমিটারের মধ্যে।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, এদিন পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন নেমেছে ২৪.২ ডিগ্রিতে। বৃষ্টি নামায় আর্দ্র গরম কিছুটা প্রশমিত হলেও গুমোট ভাব কাটেনি পুরোপুরি।
তবে এখানেই শেষ নয়। রবিবারের বৃষ্টির পর আংশিক স্বস্তি মিললেও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ও মঙ্গলবারও পুরুলিয়ার আকাশ থাকবে মেঘলা। জেলার বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা কমবে অনেকটা।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়। এর প্রভাবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল। ঘূর্ণাবর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫.৮ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করছে। আগামী দু’দিনে ওই নিম্নচাপ দক্ষিণ ওড়িশা হয়ে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে। পরবর্তী সময়ে তা ছত্তিশগড়ের দিকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর পাশাপাশি মৌসুমি অক্ষরেখা অমৃতসর, মুজফ্ফরনগর, ডালটনগঞ্জ হয়ে নিম্নচাপ অঞ্চল ছুঁয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আবার উত্তর-পশ্চিম ঝাড়খণ্ডের উপরও একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়। তবে আবহাওয়া দপ্তরের মতে, এই নতুন নিম্নচাপ অঞ্চলের সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর পড়বে না।
কৃষি মহলের মতে, এই বৃষ্টি ধান চাষে বিশেষ উপকার দেবে। ইতিমধ্যেই আমন ধান গাছের গোড়ায় জল জমে শিকড় মজবুত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।










Post Comment