insta logo
Loading ...
×

শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ‘চায়ের সাথে আড্ডা’ কর্মসূচিতে বিজেপি যোগ! বিতর্ক পুরুলিয়া তৃণমূলে

শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ‘চায়ের সাথে আড্ডা’ কর্মসূচিতে বিজেপি যোগ! বিতর্ক পুরুলিয়া তৃণমূলে

নিজস্ব প্রতিনিধি পুরুলিয়া :

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের। বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে “চায়ের সাথে আড্ডা” নামে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ক্যাপশন রাখা হয়,সকলেই আসুন এবং নিজের পুরোনো স্মৃতি নতুনদের সাথে শেয়ার করুন। আর এই নতুন কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কে জড়ালো পুরুলিয়া শহর তৃণমূল। ওই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল যে সকল নেতা-কর্মীরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের বৃত্ত থেকে হারিয়ে গিয়েছেন,তাদের স্মরণেই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে ‘চায়ের সাথে আড্ডা’ নাম দিয়ে প্রচার। সেই সঙ্গে সিঙ্গাড়া, পুরুলিয়ার বিখ্যাত তেলেভাজা ভাবরা, কাঁচা লঙ্কা ও দুধ চায়ের ছবি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে যায় পুরুলিয়া শহর তৃণমূল। আবার কাউন্সিলাদের বিভাজনের ছবিটা বেআব্রু হয়ে পড়ে।আর সেই বিতর্ক এড়াতে রবিবার বি টি সরকার রোডে শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানে পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে দলের ২০ কাউন্সিলরের মধ্যে গরহাজির থাকলেন ১৭ জন।
সবে মিলিয়ে পুরুলিয়া পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলারদের সঙ্গে সংগঠনের গোষ্ঠী কোন্দল আরও একবার সামনে চলে এলো। কিছুদিন আগেই পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি তথা বিধায়ক রাজীবলোচন সরেনের সামনেই শহর তৃণমূলের সংগঠকদের সঙ্গে পুরসভার কাউন্সিলাররা ঝামেলায় জড়িয়ে যান। যে দ্বন্দ্ব রীতিমতো ভাইরাল হয়ে অস্বস্তিতে পড়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল। এদিন শ্রদ্ধাঞ্জলিতে চায়ের সাথে আড্ডা ওই অনুষ্ঠানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না হলেও একসাথে ১৭ কাউন্সিলারের গরহাজির অনেক কিছু প্রশ্ন তুলে দিল। আদৌও কি লোকসভা ভোটের হারের শিক্ষা নিয়েছে শহর তৃনমূল কংগ্রেস? এই অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিভাসরঞ্জন দাস। তিনি বলেন, ” আমার প্রশ্ন, এই অনুষ্ঠান দলের অনুমোদিত কিনা ? তাছাড়া শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে সঙ্গে চায়ের সাথে আড্ডা কেন ? এতো অনেকটাই বিজেপির কর্মসূচি। বিজেপির কর্মসূচিকে ধার নিয়ে কেন আমাদের দল করবে? তৃনমূলের শহর সভাপতি প্রদীপকুমার ডাগা বলেন,
” জেলা সভাপতি ও চেয়ারপার্সনকে জানিয়েই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রচুর নেতা, কর্মী, সমর্থক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।” কাউন্সিলরা গরহাজির বিষয়ে তিনি জানান, “সকলকেই উপস্থিত থাকার বিষয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা হয়তো এই অনুষ্ঠানকে দলীয় চোখে দেখেনি। ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান হয়তো ভেবেছেন। তাই আসেননি। তাছাড়া ওই
কাউন্সিলারদের চেয়ে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের সাধারণ কর্মীরা। যারা এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তারা অনেকেই
আগে দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলেও সাম্প্রতিককালে তাদের দেখা যেত না। এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে
তা হলো। ফলে আমি ভীষণ খুশি।”

ওই শহর তৃণমূল সভাপতি সম্প্রতি জেলা সভাপতির সামনে শহর তৃণমূলের একটি বৈঠকে বলেছিলেন, পুরুলিয়া কেন্দ্রে কোন ‘বহিরাগত’ প্রার্থী দেওয়া যাবে না। যাকে কেন্দ্র করে এই কথা বলা হয়েছিল তাঁর অনুগামীরা শুধু নন। দলের এই শহরের বহু নেতা-কর্মী তা মেনে নিতে পারেননি। ফলে শহর তৃণমূল সভাপতির এই কর্মসূচিতে অধিকাংশ কাউন্সিলার গরহাজির থাকার অন্যতম কারণ ওইদিনের ঘটনাও বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Post Comment