insta logo
Loading ...

মাছের রসনা তৃপ্তিতে ছিপ ফেলার প্রতিযোগিতাঝালদায়

মাছের রসনা তৃপ্তিতে ছিপ ফেলার প্রতিযোগিতাঝালদায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা:

“দেখুক পাড়া পড়শিতে। কেমন মাছ গেঁথেছি বড়শিতে। দেখুন কেনে পড়শিতে। এ যে রুই কাতলা মৃগেল তো নয়….। ” ‘বনপলাশীর পদাবলী’ ছবির বিখ্যাত গানে বড়শিতে আক্ষরিক অর্থে মাছ না উঠলেও পুরুলিয়ার ঝালদায় কিন্তু কারও বড়শিতে দেড় কেজি রুই, কারও ছিপে এক কেজির কাতলা। আবার কারও বড়শিতে ছোট মৃগেল, এমনকি তিন কেজির রুইও উঠেছে। রবিবার পুরুলিয়ার ঝালদা ১ ব্লকের কাঁসরা গ্রামে শিকরা পাহাড়ের কোলে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় এই ছবি ধরা পড়ে। আর এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা ঘিরে দিনভর হৈ হুল্লোড় ছিলো পাহাড় ঘেরা বনমহলের ওই গ্রামে। যেন মেলা বসে গিয়েছিল। রীতিমতো উৎসবের আমেজে ডুবে গিয়েছিলেন প্রতিযোগীরা থেকে সাধারণ মানুষজন। পাহাড় কোলে গ্রামের ওই জলাশয় জুড়ে উপচে পড়েছিল ভিড়। রঙিন হয়ে গিয়েছিল টিকরা পাহাড়। ওই প্রতিযোগিতায় ওই এলাকা ও জেলার মানুষজন ছাড়াও বাঁকুড়া, মেদিনীপুর এমনকি পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকেও মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় যোগ দেন মাছের প্রেমে ডুবে থাকা মানুষজন। বাঙালি মানেই যে মাছ ভাত। তাই সেই রসনা তৃপ্তির আমেজেও মাছ ধরার প্রতিযোগিতাকে ঘিরে এমন উৎসাহ। পুরুলিয়ার ঝালদা ১ ব্লকের বাসিন্দা ভবানী মাহাতো। তিনি শুধু ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ নন। ভালো ফুটবলও খেলতেন। এলাকার মানুষজনকে বিনোদন দিতে নিজের পুকুরে এদিন এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। পুকুরের নামও তার নামেই। কাঁসরা গ্রামের বাসিন্দা ভবানী মাহাতো বলেন, “ছেলেবেলা থেকেই আমি খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত। নানান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। তাই এলাকার মানুষকে অন্য রকম বিনোদন দিতে এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতার আয়োজন করলাম।” এই প্রতিযোগিতা দেখতে আসা ঝালদা এলাকার বাসিন্দা তারাপদ মাহাতো বলেন, “আগে মাছ ধরার ভীষণ নেশা ছিলো। এখন আর পারি না। তবে মাছ ধরা দেখার মজা নিতে এসেছি।” এই প্রতিযোগীতায় ৬০ জন অংশ নেন। প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীতে ছিল ১৫০০ টাকা এন্ট্রি ফি দিয়ে ৫ ঘন্টা ধরে পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ ধরার সুযোগ। এই ৫ ঘন্টায় যে যত খুশি মাছ ধরতে পারেন।

Post Comment