insta logo
Loading ...
×

মমতার ৩৩ পূজা উদ্বোধনে পুরুলিয়ায় জমে গেল দুর্গাপূজা

মমতার ৩৩ পূজা উদ্বোধনে পুরুলিয়ায় জমে গেল দুর্গাপূজা

সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া :

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে জঙ্গলমহলেও শুরু হয়ে গেল শারদোৎসব। তিনটি পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রী ৩৩টি দুর্গাপূজার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার তৃতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনে বেলগুমা পুলিশ লাইনস আবাসিক বৃন্দ দুর্গাপূজা ও কালী পূজা কমিটির দুর্গাপূজার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ড. রজত নন্দা, জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো।

এদিন বেলগুমা পুলিশ লাইনস আবাসিকবৃন্দ দুর্গাপূজা ও কালী পূজা কমিটির দুর্গাপূজা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দুর্গাপূজার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি হলো বরবাজার মল্লপাড়া সার্বজনীন মহিলা দুর্গাপূজা, পুঞ্চা পাড়ুই সার্বজনীন দুর্গোৎসব, পুরুলিয়া ধীবর সমিতি জেলিয়া পাড়া, পুরুলিয়া সুভাষপল্লী (সিন্দারপট্টি), আড়শা ষোলোআনা দুর্গাপূজা, চেলিয়ামা আদি সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও হুড়া লধুড়কা রাজলক্ষ্মী দুর্গামন্দির মাঝপাড়া।

প্রথম পর্যায়ে জেলার ১৫ টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি হলো ঝালদা নামোপাড়া, জয়পুর চটিপাড়া, মানবাজার ইঁদকুড়ি, পুরুলিয়া তেলকল পাড়া, পুরুলিয়া আমলাপাড়া, পুরুলিয়া অলঙ্গীডাঙ্গা, পুরুলিয়া নর্থলেক রোড, কাশিপুর বড়ো লোহার পাড়া, কাশিপুর রামপুর, রঘুনাথপুর মিশন রোড, রঘুনাথপুর গ্রামরক্ষী বাহিনী, পাড়া জবড়রা, পাড়ার আনাড়া চাপুড়ি, রঘুনাথপুর তাঁতিপাড়া ষোলআনা ও নিতুড়িয়া দুবেশ্বরী কোলিয়ারি।

দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১০ পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। সেগুলো হলো জয়পুর আটাকল চক সার্বজনীন, বোরো সার্বজনীন, আঁকরো সার্বজনীন, মানবাজার যোগাশ্রম, পুঞ্চা যুগলিডি, বলরামপুর সরাইপাড়া, পুরুলিয়া রেনিরোড দেবীমেলা, পুরুলিয়া সূর্যসেন পল্লী, পুরুলিয়া চকবাজার ষোলআনা ও নিতুড়িয়ার সরবড়ি সার্বজনীন।

প্রতিটি স্থানেই জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সরকারি আধিকারিকরাও। বেলগুমায় সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো বলেন, “দুর্গাপুজো বাংলার সর্বজনীন উৎসব। জঙ্গলমহলের প্রত্যেক ঘরে ঘরে আজ আনন্দের আলো পৌঁছে যাক, এটাই আমাদের কামনা। ” জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” উৎসব ঘিরে উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে উৎসব উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বদা সতর্ক।”

Post Comment