দেবীলাল মাহাতো, পুরুলিয়া:
নদী থেকে তোলা হয়েছে নির্বিচারে বালি। তার ফলে পরিবর্তন হয়েছে নদীর গতিপথ। তাই টানা বৃষ্টিতে নদীর পাড় ভেঙে ধসে গেল গ্রামের একমাত্র যাওয়ার কংক্রিটের রাস্তা। ফলে চরম সমস্যায় পুরুলিয়া ১নং ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পটমপুটরা গ্রামের বাসিন্দারা। বন্ধ হয়ে পড়েছে যাতায়াত- যোগাযোগ গ্রামটি যেন বিচ্ছিন্ন বদ্বীপ। তাই রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের। একেবারে সামনে কোন নির্বাচন না থাকলেও। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে পুরুলিয়া এক ব্লকের বিডিও মনোজকুমার মাইতিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।
পুরুলিয়া ১নং ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রাম হয়ে কংসাবতী নদীর পাড় দিয়ে পটমপুটরা গ্রামে গিয়েছে রাস্তাটি। পটমপুটরা গ্রামের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন মাহাত, দিলীপ মাহাতোর অভিযোগ “রাস্তার বেশ কিছুটা নিচেই নদীর পাড় ঘেঁষে নির্বিচারে তোলা হয়েছে বালি। বালি তোলার বলে নদীতে বান আসায় উপরের বালি নিচে সরে গিয়েছে। তার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। নদীর ভাঙনে রাস্তার বড় অংশই ধসে পড়েছে। ভূমি সংস্কারের বেঁধে দেওয়া নদী ঘাট থেকে বালি তোলা হলে এভাবে ভাঙন হতো না।”

ওই এলাকার গ্রামবাসীদের কথায়, “আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে গ্রামে ঢোকার একটি স্থায়ী রাস্তা চাইছি।
রাস্তাটি ভেঙে পড়ায় আড়শা ব্লকের ২০-২৫ টি গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।” কারন কংসাবতী নদী পেরিয়ে এই রাস্তাটি ধরেই তারা চাষ মোড়ে যান। এলাকার মানুষের রুটি রোজগারের ক্ষেত্রে এই রাস্তাটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটি ভেঙে পড়ায় সকলেই সমস্যায় পড়লেন। পটমপুটরা গ্রামের আরও এক বাসিন্দা মিতন লায়া বলেন, “দীর্ঘদিন পর যদিও গ্রামে ঢোকার একটি বিকল্প রাস্তা তৈরি হয়েছিল। সেই রাস্তাও ভেঙে গেল।” ফলে চার চাকার বাহন গ্রামে প্রবেশ করার আর রাস্তা থাকলো না। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, খাটিয়ায় বসিয়ে তাকে বার করতে হবে। তাছাড়া গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ-র দিনমজুর করেই দিন কাটে । ফলে প্রতি দিনই গ্রাম ছেড়ে শহর পুরুলিয়া বা চাষ বোকারো যেতে হয়। রাস্তা ভেঙে পড়ায় তারাও সমস্যায় পড়েছেন।
Post Comment