নিজস্ব প্রতিনিধি,আড়শা:
বিষ্ণু কুমার মৃত্যু মামলার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার আড়শার গ্রামে পৌঁছালেন সিআইডির ডিআইজি সোমা দাস মিত্র। তদন্তকারী দলের সঙ্গে তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতের ভাই সমন কুমার, মা গৌরিবালা এবং স্ত্রী নমিতা কুমারকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ জুলাই মোবাইল চুরির অভিযোগে বিষ্ণু কুমারকে আড়শা থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। তার কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার হলেও প্রকৃত মালিক অভিযোগ দায়ের না করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, সেদিন থানায় তাকে মারধর করা হয়, যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ১৯ জুলাইয়ে রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিরকাবাদ গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয়ে ভাই সমন কুমার খুনের অভিযোগ দায়ের করেন এবং কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় কল্যাণীর এইমসে। দুটি রিপোর্টে অমিল ধরা পড়ায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ১৯ আগস্ট মামলাটি সিআইডির হোমিসাইড শাখাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখবে আদালত। বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের পর সমন কুমার বলেন, “সিআইডির আধিকারিকরা আমাদের বাড়িতে এসে সমস্ত প্রশ্ন করেছেন, আমরাও সব উত্তর দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি দাদার মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক বিচার পাব।”
Post Comment