নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ায়। পুলিশের বড়সড় অভিযানে ধরা পড়েছেন মোট ১৯ জন বালি কারবারি।
বুধবার গভীর রাতে পুরুলিয়া শহরে ওভারলোড বালি বোঝাই দুটি ট্রাক্টর আটক করেন বিজেপি কর্মী সুরজ শর্মা। তার অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ বালি ব্যবসা, অথচ কেউ মুখ খুলছে না।’’ এরপরই থানার সামনে বিক্ষোভে নামেন তিনি।
ঘটনাস্থলে তখন হাজির হন পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেখানেই শুরু হয় উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডা। অভিযোগ, বালি ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন বিধায়ক, যার প্রতিবাদে সরব হন সুরজ। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়—থানার গেটের সামনেই শুরু হয় হাতাহাতি ও মারধর।
সেই ঘটনার একটি ভিডিও রাতারাতি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের সামনেই বিধায়ক নিজ দলের এক কর্মীকে মারছেন—এমনই দাবি উঠেছে বিজেপির একাংশের তরফে। যদিও ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশাসনের কোনও মন্তব্য মেলেনি এখনও।
ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শহর ও আশপাশের এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে ধরা হয় ১৯ জন বালি কারবারিকে। শুক্রবার সকালে তাদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়েছে।
তবে এই গোটা ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা। একদিকে পুলিশ দাবি করছে, ‘‘অবৈধ বালি ব্যবসা রুখতে প্রশাসনের পদক্ষেপ চলবে নিরবচ্ছিন্নভাবে’’। অন্যদিকে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে—দলের বিধায়কই কি তবে বালি মাফিয়াদের আড়াল করছেন?
অন্যদিকে পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি সুরজ শর্মা তার নাম করে বালির ট্রাক্টরের কাছ থেকে টাকা তুলছে এমন খবর পেয়ে তিনি থানায় যান।









Post Comment