নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঘমুন্ডি:
বিলুপ্তপ্রায় বিরহোড় জনজাতির ৪ কিশোরী উত্তীর্ণ হল মাধ্যমিক পরীক্ষায়। যা বাংলায় প্রথম! কুইজ বই-এর পাতায় বিলুপ্ত জনজাতির নামের মধ্যে উল্লেখ রয়েছে বিরহোড় জনজাতির নাম। এর আগে একসাথে ৪ জন বিরহোড় ছাত্রী মাধ্যমিকে পাশ করার উদাহরণ নেই। ১৯৬০ সাল থেকে ২০২৫-র মাধ্যমিকের আগে পর্যন্ত এই জনজাতির মোট চার মেয়ে মাধ্যমিকে সাফল্য পেয়েছিল। আর এবার একসাথেই ৪ বিরহোড় কন্যার সাফল্য গর্বিত করেছে তাদের স্কুল সহ পুরুলিয়া জেলা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরকেও। এ বিষয়ে ওই দপ্তরের পুরুলিয়ার প্রকল্প আধিকারিক শিলাদিত্য চক্রবর্তী বলেন, “একসাথে বিরহোড় জনজাতির ৪ ছাত্রীর মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ভীষণ-ই ভালো দিক। তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা সর্বদা থাকার চেষ্টা করব। কোনভাবেই তারা যাতে স্কুলছুট না হয়ে যায় আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।”
পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির ভূ-পতি পল্লীর ওই ৪ কিশোরী দিবিয়া শিকারি, শম্পা শিকারি, মালা শিকারি ও পদ্মাবতী শিকারি। দিবিয়ার প্রাপ্ত নম্বর ২৬৫। শম্পার ২২০। মালা পেয়েছে ১৯৩। পদ্মাবতীর নম্বর ১৮৭। তারা সকলেই বাঘমুন্ডির ধসকাতে পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। হোস্টেলে থেকেই চলত তাদের লেখাপড়া। এ বিষয়ে ছাত্রী দিবিয়া শিকারি ও মালা শিকারি জানান, ” খুবই ভালো লাগছে। আমরা চাই আমাদের দেখে জুনিয়াররা এগিয়ে আসুক। “
বাঘমুন্ডির ভূপতিপল্লী ছাড়াও বলরামপুর, ঝালদা এক ব্লকেও কিছু বিরহোড় রয়েছে। এই জনজাতির কিছু অংশ রয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। মূলত জঙ্গলে বসবাস করা এই জনজাতি এখনও সেভাবে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেনি । বরং তারা জঙ্গল ঘেঁষা এলাকাতেই থাকতে ভালোবাসেন। সেই পিছিয়ে পড়া জনজাতির চার মেয়ের মাধ্যমিকের সাফল্যে গর্বিত জেলার শিক্ষা মহল।









Post Comment