নিজস্ব প্রতিনিধি, বলরামপুর :
দাম্পত্য কলহের জেরে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন মা। কয়েক ঘণ্টা পর খবর এল— ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে মা কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছেন, আর তিন বছরের শিশু কন্যা তলিয়ে গিয়েছে জলে। ঘটনার চার দিন পর, শনিবার, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মা।
ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার আমারু গ্রামে। ধৃতের নাম কল্যাণী মাহাত (৩০)। পুলিশ সূত্রের খবর, গত বুধবার বিকেলে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহের জেরে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান কল্যাণী। পরে, গেরগেড্ডি গ্রামের কাছে একটি পরিত্যক্ত সেচ কুয়োর ধারে তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আচমকাই সেই কুয়োয় ঝাঁপ দেন কল্যাণী। তাঁর কোলেই ছিল তিন বছরের কন্যা অনু। কুয়োর ধারে থাকা মানুষজন ছুটে এসে কল্যাণীকে কোনওমতে টেনে তুলতে সক্ষম হলেও, শিশুটিকে আর বাঁচানো যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। সন্ধ্যার দিকে উদ্ধার হয় শিশুটির নিথর দেহ।
কল্যাণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাঁশগড় গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই পুলিশি নজরদারিতে ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতেই মৃত শিশু কন্যার বাবা বিভীষণ মাহাত বলরামপুর থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় কল্যাণীকে। তাঁকে এদিনই পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Post Comment