নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :
খেঁকশিয়ালের দাপাদাপিতে এক রাতে রক্তাক্ত হলেন ১০ জন। বুধবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের রঘুনাথপুর রেঞ্জের একাধিক গ্রামে— নামো বাথান, লছমণপুর, মহারাজনগর-সহ আশপাশে। আতঙ্কে রাত কাটলেও বৃহস্পতিবার সকালেই গ্রামেগঞ্জে বন দফতরের মাইকিং শোনা গেল। পাশাপাশি নেট ও খাঁচা পেতে ওই বন্যপ্রাণীটিকে ধরার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে গড়পঞ্চকোট পাহাড় থেকে নেমে আসে একটি খেঁকশিয়াল। প্রথমে নামো বাথান গ্রামে ঢুকে টানা সাতজনকে কামড় ও আঁচড় বসায় সে। এরপর লছমণপুর গ্রামে ঢুকে ফের আরও দু’জনের উপর ঝাঁপায়। শেষে পুরুলিয়া–বরাকর রাজ্য সড়কের লছমণপুর মোড়ে এক লরি চালকের পায়ে দাঁত বসায় ওই প্রাণীটি। হঠাৎ এমন আক্রমণে হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়।

খবর পেয়ে রাতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিতুড়িয়া থানার পুলিশ ও বনকর্মীরা টহল দেন। তবে তল্লাশি চালিয়েও প্রাণীটিকে আর দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানায় বন দফতর। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বনকর্মীরা জানতে পেরেছেন, গড়পঞ্চকোট পাহাড়ের দিক থেকেই ওই খেঁকশিয়ালের আগমন। তাই ওই পথেই খাঁচা ও নেট বসানো হয়েছে।
বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, কোনও পাগলা কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়েছিল খেঁকশিয়ালটি। আর তার ফলেই অস্বাভাবিকভাবে গ্রামে ঢুকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে সে। এদিন জখমদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে।





Post Comment