দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
তিন বিধানসভার সংযোগ স্থলে ২০১৬ সালের বিধানসভার ভোটের আগে শুরু হয়েছিল সেতু তৈরির কাজ। তারপর শিলন্যাসের পর পেরিয়ে গেছে নয় নয়টি বছর। কংসাবতী নদীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। ভোটের পরে ভোট এসেছে। বারবার মিলেছে প্রতিশ্রুতি ।তবু সেতু আর তৈরী হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা কয়েক দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী করেছিলেন বাঁশের অস্থায়ী সেতু।কাল বৃহস্পতিবার সেই সেতু খুলে দেওয়ার কথা ছিল।তার আগেই নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে লাগাতার বর্ষণে নদীতে বান চলে আসায় ভেসে গেল সেই বাঁশের সাঁকো। ফের কি ভাবে সাঁকোর টাকা জোগাড় হবে ,তা নিয়ে চিন্তায় এলাকার মানুষজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , কাটাবেড়া- বামুনডিহা ঘাটে সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের।সেই দাবি মেনে বিধানসভা ভোটের আগে কংসাবতী নদীর উপর পুরুলিয়া ১ নং ব্লকের কাটাবেড়া ও আড়শা ব্লকের বামুনডিহা ঘাটে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল । সেতুর শিলন্যাস করেন তৎকালীন প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ।পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে বরাদ্দ করা হয় ৯কোটি ২৪লক্ষ টাকা।কাজের দায়িত্ব পায় ম্যাকিনটস বার্ন লিমিটেড।কাজের সময় সীমা ছিল দুবছর।প্রথম এক বছর দ্রুতগতিতে কাজ হলেও ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে অজ্ঞাত কারনে থমকে যায় সেতু তৈরির কাজ।তারপরেই শেষ হয়ে যায় কাজের দফারফা। মাঝপথে সেতুর কাজ থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে তিনটি বিধানসভার প্রায় ৫০হাজার মানুষ। সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই “সেতু নির্মাণ সংগ্রাম কমিটি” গড়ে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কাজ আর এগোয়নি।এই পরিস্থিতিতে ফি বর্ষায় বাঁশের অস্থায়ী সেতু বানিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়েই নদী পেরোতে হয় এলাকার মানুষকে। এই বছরেও কয়েকদিন ধরে পরিশ্রম করে তৈরি করেছিলেন বাশের সাঁকো। কিন্তু এক দিনের বৃষ্টিতেই সেই সাঁকো ভেঙে গিয়ে দুর্দশা বাড়িয়েছে। সাঁকোর কাজে যুক্ত মহেশ্বর মাহাত,সুনীল সর্দার জানান – সবাই মিলে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে সাঁকো বানিয়ে ছিলাম। তা ভেসে যাওয়ায় সমস্যা পড়ে গেলাম।জানি না আবার কীভাবে সাঁকো বানাবো।
Post Comment