insta logo
Loading ...
×

পুলিশের মারে মৃত্যু নয় আড়শার যুবকের, বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট

পুলিশের মারে মৃত্যু নয় আড়শার যুবকের, বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট

সুইটি চন্দ্র ও দেবীলাল মাহাতো:

পুরুলিয়ার আড়শা থানার অধীনস্থ আড়শা গ্রামে এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা থেকে রাজ্য রাজনীতিতে। মৃত যুবক বিষ্ণু কুমারকে একটি মোবাইল চুরির অভিযোগে পুলিশ থানায় তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সমাজ মাধ্যমে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, কোনও প্রমাণ ছাড়াই সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে বিষ্ণুকে থানায় জোর করে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাই যখন তাঁকে দেখতে থানায় যান, তখনই বিষ্ণুর শারীরিক অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করেন। পরে অসুস্থ অবস্থায় বিষ্ণুকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

১৮ই জুলাই বিষ্ণুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে সিরকাবাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর বিষ্ণুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো হয় বলেও অভিযোগ বিজেপির। তবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। তার আগে দেহ সুরতহালের ভিডিওগ্রাফি হয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেন, “রাজ্য পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি চাই। মৃতের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে, পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বিষ্ণুর দেহে কোনও মারধরের চিহ্ন নেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিডনি ও লিভারজনিত অসুস্থতার জটিলতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটজনক। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ালে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সোমবার মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “একজনের মৃত্যু নিয়ে এভাবে রাজনীতি করা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা মানুষের পাশে থাকার কথা বলেন, তারাই যদি মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চান, তবে তা সমাজের পক্ষেই বিপজ্জনক বার্তা বহন করে।” আড়শা এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা সুবিচারের দাবিতে মিছিল করেন এদিনই।

Post Comment