দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
মাশরুম চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন আড়শা ব্লকের কৃষকরা। মাশরুমের বীজ ছড়ানোর এক মাসের মধ্যেই কৃষকরা মাশরুমের বানিজ্যকরণ শুরু করেছেন। এতেই চাহিদা মিটছে জেলার মানুষের। খুশি ব্লকের উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কমবেশি মাশরুম চাষ হলেও আড়শা ব্লকে সেইভাবে মাশরুম চাষ করা হয়নি। অথচ এই মুহূর্তে সবচেয়ে কম সময়ে জনপ্রিয় ও লাভজনক চাষ হলো মাশরুম। যা জমি, লাঙল, কোদাল ছাড়াই করা যায়। অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষ্যে এগিয়ে আসে আড়শা ব্লকের উদ্যান পালন দপ্তর। মাশরুম চাষ যে লাভজনক তা প্রশিক্ষণ শিবিরে হাতে-কলমে চাষিদের বোঝান উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিকরা। চাষিদের নিয়ে করেন কর্মশালা। নিয়ে আসা হয় মাশরুম বিশেষজ্ঞদের। চাষিদের কাছে তুলে ধরা হয় মাশরুম চাষের যাবতীয় খুঁটিনাটি। তৈরি করা হয় প্রায় চারশোজন কৃষককে নিয়ে ‘আড়শা গ্রীন ফিল্ড ফারমার প্রোডিউসার কোম্পানি’।

সেই কোম্পানির হাত ধরেই খোলা বাজারে মিলছে মাশরুমের সাথে সাথে মাশরুমের চাটনি, আচার, ঘি, চপ, সিঙ্গাড়া সহ বিভিন্ন সুস্বাদু রেসিপি। তা বিক্রি করে জেলার মানুষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। আড়শা ব্লকের হাড়মাডি গ্রামের কৃষক মহাবীর মাহাত, তুম্বাঝালদা গ্রামের নিত্য রঞ্জন মাহাত বলেন, প্রতিদিন ১৫-২০ কেজি মাশরুম বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ১ কেজি মাশরুমের বাজার দর ২০০-২৫০ টাকা। আড়শা ব্লকের উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক শচীনন্দন মাঝি জানান, বর্তমান বাজারে মাশরুমের ভালো চাহিদা রয়েছে। বেশি মূলধনেরও প্রয়োজন পড়ে না। সেই কথা মাথায় রেখেই ব্লকের চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। চাষিরা যাতে সরকারী উদ্যোগে বাইরের বাজারে মাশরুম বিক্রি করতে পারেন তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাতে চাষিদের লাভের অঙ্ক আরোও বাড়বে।
Post Comment