insta logo
Loading ...
×

পুরুলিয়ায় টানা বর্ষণে ৬ মৃত্যু, ক্ষতি ৩৫ লাখ

পুরুলিয়ায় টানা বর্ষণে ৬ মৃত্যু, ক্ষতি ৩৫ লাখ

পুরুলিয়া মিরর ডিজিটাল ডেস্ক :

পুরুলিয়ায় জুন মাসজুড়ে টানা বর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বজ্রাঘাত ও জলে ডুবে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দুই দফার নিম্নচাপের প্রভাবে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। সোমবার পর্যন্ত নবান্নে পাঠানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেলায় মোট ১৩৫৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ৫৭টি বাড়ি, যার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ১১.৪ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পাকা ও কাঁচা বাড়ির সংখ্যা ৪৭৬, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৩.৮ লাখ টাকা।

এদিকে, সোমবার সকালে আড়শার বেলডি ভুরসা গ্রামে মাটির বাড়ি ধসে পড়ায় আহত হয় সাত বছরের আয়েন শেখি। সে বরাবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা, আড়শায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে বিপাকে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলার ১৩টি ব্লকের ১৯৭টি গ্রাম ও দুই পুরসভার ৩৬টি ওয়ার্ডের মানুষ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলার সব নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁসাই, কুমারী, দ্বারকেশ্বর, সুবর্ণরেখা, শিলাই নদী এবং পাহাড়ি নদী টটকো, যমুনা, সাতগুড়ুম, বান্দু, শোভা নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। মানবাজারের কুদা সেতু, বোরোর রঘুনাথপুর কজওয়ে, বান্দোয়ান-কুইলাপাল কজওয়ে, ভালো পাহাড়ের কজওয়ে, ফতেপুর-তসরবাঁকি কজওয়ে এবং কেন্দার কুদা, চেকা, পেঁচাড়া কার্লভাটের উপর দিয়ে জল বইছে, ফলে বহু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।

পুরুলিয়া শহরের দুলমি এলাকায় নিকাশির সমস্যায় জল ঢুকে পড়ে বহু বাড়িতে। এর জেরে ১৮ নম্বর পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। পরে পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং নিকাশির সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

জেলায় জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫২.৯ মিমি হলেও এবছর জুনে বৃষ্টি হয়েছে ৩০৬.৮১ মিমি বেশি। ১৫ জুন পর্যন্ত যেখানে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৩০৭.০৭ মিমি, সেখানে নিম্নচাপের কারণে বর্ষা আগেভাগেই সক্রিয় হয়ে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। রবিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৯.৪৫ মিমি। বরাবাজার ব্লকে সর্বাধিক ১৩২.৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুদীপ পাল জানিয়েছেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা দ্রুত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।”

Post Comment