নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
পুরুলিয়াও ছিল তাঁর আন্দোলনের ধাত্রীভূমি। ঝাড়খণ্ড আন্দোলনে যখন তিনি নেতা নন, একজন তরুণ তুর্কী সেনাপতি, তখন থেকে পুরুলিয়াও তাঁকে শিবু সরেন তৈরি করতে পাশে থেকেছে। দিশম গুরু শিবু সরেনের প্রয়াণে মর্মাহত তাঁর বহু আন্দোলনের সাক্ষী পুরুলিয়া।
বহুবার পুরুলিয়া এসেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সরেন। প্রথমবার পুরুলিয়া আসেন ১৯৭৫ সালে। সেই স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর বহু আন্দোলনের সহযোগী একদা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো।
” সেটা ১৯৭৫ সাল। বিনোদ বিহারী মাহাতো, শিবু সরেন আর শক্তি মাহাতো এসেছিলেন আমার বাড়ি। উদ্দেশ্য আমি যাতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় যোগ দিই। এরপর গোয়াল ঘরেও গুরুজির সঙ্গে মিটিং করি। এক বিছানায় ঘুমিয়েওছি। তাঁর বাড়ি গিয়েছি। নিজের বাগানের সিম নিজের হাতে তুলে আমায় দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯২-৯৩ সালে আমার জন্য একটা অ্যাম্বাসাডার গাড়ি কিনে উপহার দিয়েছিলেন গুরুজি। “

“পুরুলিয়ায় শিবু সরেনের প্রথম জনসভা ১৯৭৯ সালের ৩১ মার্চ। কোর্ট কম্পাউন্ডে হয়েছিল সেই সভা। সমস্ত সরকারি অফিস বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। যেন ঝামুমোর সবাই যেন কোন বুনো জন্তু। এর পর পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তিনি সভা করেছেন। কোটশিলায় ঝাড়খণ্ড মেলা উদ্বোধন করেছেন। সৈনিক স্কুলের মাঠে, পাঞ্চেত, হুড়া, খইরিপিহড়া, কলাবনি, সাঁওতালডি সহ বিভিন্ন জায়গায়। ১৯৮৬ সালে মানবাজার ২ নং ব্লকে আমাদের ৪ জন শহিদ হন। সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। “
এক সময় শিবু সরেন মানেই আন্দোলন, সেই আন্দোলনের বারুদ ছড়িয়ে পড়েছিল পুরুলিয়াতেও। আর তাই দিশম গুরুর প্রয়াণে মর্মাহত তাঁর সহযোদ্ধারা।
Post Comment