insta logo
Loading ...
×

তরুণ-তরুনীদের জীবন বদলে দিচ্ছে প্রেরণা, ইউনিফর্মড ফোর্সে চাকরি পাইয়ে দিতে পুরুলিয়ার ব্লকেও প্রশিক্ষণ!

তরুণ-তরুনীদের জীবন বদলে দিচ্ছে প্রেরণা, ইউনিফর্মড ফোর্সে চাকরি পাইয়ে দিতে পুরুলিয়ার ব্লকেও প্রশিক্ষণ!

সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া:


অযোধ্যা পাহাড়ের আদিবাসী তরুণ-তরুণীদের জীবন পরিবর্তনের অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ‘প্রেরণা’ প্রকল্প। পাহাড়ি জনপদের যুবসমাজকে ইউনিফর্মড ফোর্সে যোগদানের স্বপ্ন দেখাতে এবং সেই পথে এগিয়ে যেতে এক অন্যতম প্ল্যাটফর্ম এই তিন মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
গত জুলাইয়ে ২০০-রও বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে ৫৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ৯ আগস্ট থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আর তিন মাস পরে ৪৩ জন সফলভাবে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। সোমবার বেলগুমা পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র ও স্টাডি মেটেরিয়াল।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, জেলাশাসক কোন্থাম সুধীর, পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, “এই প্রকল্প শুধু চাকরি তৈরির উদ্যোগ নয়। বরং সমাজ পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত। জেলার অন্যান্য ব্লকেও প্রেরণা চালুর প্রস্তাব দিচ্ছি।” পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এই আবাসিক ক্যাম্প পরিচালনা করা এক চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা শুধু প্রশিক্ষণই দিইনি, ভবিষ্যতে কেরিয়ার গড়ার কাজেও পাশে থাকব। প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে তৈরি হচ্ছে হোয়াটস্যাপ গ্ৰুপ। সপ্তাহে একদিন তাদের ক্লাসও নেওয়া হবে।”


জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো বলেন, “প্রেরণার সাফল্য গর্বের বিষয়। জেলা পরিষদ প্রকল্পে যুক্ত হয়ে সহযোগিতা করতে চায়।”
জেলাশাসক কোন্থাম সুধীর বলেন, “এই প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র চাকরির সুযোগ নয়। দীর্ঘমেয়াদি আত্মবিশ্বাস গঠনের অভিজ্ঞতা।”

অযোধ্যা পাহাড়ের যুবসমাজ যেখানে একসময় বিপথে পরিচালিত হত। সেখানে আজ তারা ইউনিফর্মড ফোর্স-র পোশাক গায়ে জড়ানোর স্বপ্নে উজ্জীবিত। তাই প্রেরণা শুধুই একটি প্রকল্প নয়, বরং জীবন বদলের সংগ্রাম।

Post Comment