নিজস্ব প্রতিনিধি , পাড়া :
নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়ার পাড়া থানার আনাড়া গ্রামে। ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিয়ের দিন। তারিখ ২০ জুন। সোমবার বিকেলে ১০০ ডায়ালের মাধ্যমে এক গোপন ফোনে খবর পৌঁছয় জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। জানানো হয়, আনাড়ার এক নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছে পরিবার।
খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর হয় আনাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। সঙ্গে নেওয়া হয় চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিদের এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের। দলটি ওই কিশোরীর বাড়িতে পৌঁছে যায়। তখন বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় চলছিল পুরোদমে।
পরিবারকে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ। শুধু তাই নয়, এতে কিশোরীর স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত বিপন্ন হতে পারে বলেও বোঝানো হয়। প্রথমে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লেও, শেষমেশ পরিবারের তরফে জানানো হয়—তারা মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না।
এই মর্মে একটি মুচলেকা থানায় জমা দেয় পরিবার।
চাইল্ড লাইনের এক কর্মী বলেন, “সমাজে এখনও নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের দ্রুত পুলিশি তৎপরতা না থাকলে তা রোখা কঠিন। সচেতনতা বাড়াতে হবে।”
পাড়া ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, “এলাকায় এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে এখন থেকে কড়া নজরদারি চালানো হবে। প্রয়োজনে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে সচেতনতা কর্মসূচিও নেওয়া হবে।”
এলাকার বহু মানুষ পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ‘‘আজ যদি এই বিয়েটা হয়ে যেত, আগামী কাল আরও একটা হত। পুলিশ সময়মতো না এলে অপরাধ হয়েই যেত।’’
Post Comment