insta logo
Loading ...
×

কাশীপুরে মৌমাছির হুলে মৃ*ত্যু অবসরপ্রাপ্ত আয়কর কর্মচারীর

কাশীপুরে মৌমাছির হুলে মৃ*ত্যু অবসরপ্রাপ্ত আয়কর কর্মচারীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাশিপুর:
প্রভাতের শান্তি আর প্রকৃতির সজীবতার সন্ধানে রোজই হাঁটতে বেরোতেন শীতল মিশ্র (৬৭)। অবসরপ্রাপ্ত আয়কর বিভাগের কর্মচারী। বাড়ি পুরুলিয়ার কাশিপুরের সিমলায়। সেখান থেকে সিমলা জোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের পথ ছিল তাঁর দৈনন্দিন অভ্যাস। পথের ধারে একটি গাছে বহুদিন ধরেই ছিল বিশাল মৌচাক। পাখির টোকায় মাঝেমধ্যে মৌমাছি উড়তে দেখা গেলেও, বিপদের মাত্রা যে এভাবে জীবন কেড়ে নেবে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।

রবিবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই তিনি হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদও ঘরে না ফেরায় উদ্বেগ বাড়ে পরিবারের। খোঁজ শুরু হলে সিমলা জোড়ের কাছে রাস্তার ধারে এক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। শরীরজুড়ে মৌমাছির হুলের দাগ। খবর পেয়ে ভাই তপন মিশ্র ছুটে যান। দেখে চমকে ওঠেন। দাদার মুখ, গলা, চোখ, এমনকি জামার ভেতর পর্যন্ত ফুলে উঠেছে। জামার ভিতরেও কয়েকটি মৌমাছি আটকে আছে। স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত কাশিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, তখনই মৃত্যু হয়েছে। তপন বলেন, “প্রতিদিনের মতোই বেরিয়েছিল দাদা। কে জানতো, এই সামান্য ঘোরাঘুরির মধ্যে এমন বিপদ লুকিয়ে আছে!”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, অসংখ্য মৌমাছির হুলে দেহে বিষ প্রবেশ করে দ্রুত রক্তচাপ কমে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু ঘটে। দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৌমাছির হুলে শরীরে বিষ ঢোকে, যা রক্তনালী ও কণিকাকে ফুলিয়ে তোলে। ফলে দ্রুত চিকিৎসা না পেলে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে যায়।”

Post Comment