নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা :
বার হয়েছিলেন মর্নিং ওয়াকে। আর সেই পথেই দুস্কৃতীরা অপহরণ করল ঝালদার ব্রজপুরের বাসিন্দা কয়লা ব্যবসায়ী লোকেশ গরাঁইকে। লোকেশবাবুর সঙ্গে ছিলেন গ্রামের আরেক ব্যক্তি ভৃগুরাম চালক। তাকে লাঠিপেটা করে ব্যবসায়ীর মুখে গামছা বেঁধে গাড়িতে চাপিয়ে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঝালদা থেকে ব্রজপুর রাস্তায় সাধুডেরার কাছে ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
ব্যবসায়ীর স্ত্রী ললিতা গরাঁই ঝালদা থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন।
ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে যান ঝালদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌরব ঘোষ ও ঝালদার আইসি পার্থসারথি ঘোষ। পুলিশের একাধিক দল ওই এলাকা ঘুরে দেখে। পুলিশ জানতে পারে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দুস্কৃতীরা একেবারে কাছেই সীমান্ত পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে চলে গেছে। দিনভর ঝাড়খণ্ডে গিয়েও তল্লাশি চালায় পুরুলিয়া পুলিশ। কাশমার, গোলা ও রামগড় থানার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে এসেছে। তা খতিয়ে দেখে ওই থানাগুলির সঙ্গে কথা বলে। এদিন মর্নিং ওয়াকে লোকেশ বাবুর সঙ্গে থাকা ভৃগুরাম চালক বলেন, ” জনা চারেক লোক ছিল। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই লোকেশের মুখে গামছা বেঁধে তাকে টেনে গাড়ির দিকে নিয়ে যায় । আমি চিৎকার করলে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটায়। ওখান থেকে কোনমতে এসে বাড়িতে ঘটনার কথা জানাই। ” অপহৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী ললিতা গরাঁই বলেন, “আমার স্বামীর সঙ্গে কারো কোন ঝামেলা ছিল বলে আমার জানা নেই। যা জানি সবকিছুই পুলিশকে জানিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত কোন ঝামেলার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এই অপহরণ কাণ্ডে স্থানীয় কোন যোগ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ঝালদার অপহরণের ঘটনায় তদন্ত চলছে। অপহৃতকে উদ্ধারের জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।”
Post Comment