insta logo
Loading ...
×

কয়লা ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডে গ্রেফতারিতে পুলিশের ধন্ধ ঘনীভূত হচ্ছে

কয়লা ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডে গ্রেফতারিতে পুলিশের ধন্ধ ঘনীভূত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা :

ঝালদার নির্জন জুরাবনের জঙ্গল এলাকায় কেন এসেছিল দুই ব্যক্তি, কয়লা ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেও সেই প্রশ্নে ধন্ধে পড়েছে পুলিশ। ধৃতরা হল ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের দুই এলাকার বাসিন্দা দিলুয়ার আলি ও বিপিন রায়।যদিও প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের ধারণা, অসৎ উদ্দেশ্যেই তারা সেখানে এসেছিল।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে ভোরবেলায় গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ব্রজপুর গ্রামের কয়লা ব্যবসায়ী লোকেশ গঁরাই। গ্রামের কাছেই পাকা রাস্তা থেকে আচমকা চারচাকা গাড়িতে করে তাঁকে তুলে নিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

শুরুতে অনেকে মনে করেছিলেন, কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যাই এর নেপথ্যে রয়েছে। কিন্তু তদন্ত এগোতেই পুলিশ নিশ্চিত হয়—পুরোটাই মুক্তিপণের লোভে করা অপহরণ। ঘটনার দুদিনের মধ্যেই ধানবাদের টুন্ডি এলাকা থেকে অক্ষত অবস্থায় লোকেশকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। যদিও তখন কোনও অভিযুক্তকে পাকড়াও করা যায়নি। পুলিশ তখন থেকেই নিশ্চিত ছিল, অপহরণের নেপথ্যে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরাই।

এদিন ধৃতদের গ্রেফতারের পরেও লোকেশের পরিবারের তরফে কেউ বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তাঁর স্ত্রী ললিতা গরাঁই জানান, “যা জানানোর সবই পুলিশকে জানিয়েছি।”

এই ঘটনার তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ঝালদা থেকে ব্রজপুর যাওয়ার রাস্তার মাঝপথে, জুরাবনের জঙ্গলের পাশ থেকে ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, তাদের টিআই প্যারেডের জন্য শীঘ্রই আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Post Comment