insta logo
Loading ...
×

এক শিক্ষকের কাঁধে ১৮৪ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ

এক শিক্ষকের কাঁধে ১৮৪ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আড়শা :

মাত্র একজন শিক্ষকের কাঁধে ভর করে এগোচ্ছে ১৮৪ জন ক্ষুদে পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের হেঁটজাড়ি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ছবিটা যেন শিক্ষার সংকটের এক নির্মম বাস্তবচিত্র। শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করছেন একজন মাত্র শিক্ষক।

পাঠদানই নয়, মিড-ডে মিলের রান্না, স্কুলের তালা খোলা-বন্ধ করা, উপস্থিতির খাতা দেখা—সব দায়িত্ব একাই সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি শ্রেণির আলাদা পাঠ চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে। এক ক্লাসে পড়িয়ে অন্য ক্লাসে দৌড়তে হচ্ছে, ফলে ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনায় ধারাবাহিকতা । তবুও আশেপাশে অন্য কোনো বিদ্যালয় না থাকায় অভিভাবকেরা বাধ্য হয়ে সন্তানদের এই বিদ্যালয়ের উপরেই ভরসা রাখছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবন দাস জানালেন, “বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান হওয়া অত্যন্ত জরুরি।”


এই সমস্যায় শুধু হেঁটজাড়ি নয়, জেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় একই সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কানাইলাল বাঁকুড়া। তাঁর বক্তব্য, “খুব শীঘ্রই ওইসব বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে আশা করছি।”
এলাকার মানুষদের একমাত্র নির্ভরতা এই বিদ্যালয়ই। আশেপাশের অন্য স্কুল কয়েক কিলোমিটার দূরে হওয়ায় আপাতত একজন শিক্ষকই ভরসা ক্ষুদে পড়ুয়াদের ।

Post Comment