দেবীলাল মাহাত,আড়শা:
সিনেমাতেও এমনটা হয় না।
জমে উঠেছে কাড়া লড়াই। এমন সময় লড়াইয়ের আসরে লাঠি হাতে হাজির হন প্রমীলা বাহিনী। মদ বিক্রি বন্ধ করার দাবিতে সোচ্চার হোন তারা। ভেঙ্গে দেন মদের অস্থায়ী ঠেক।
শীত পড়তেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হয় কাড়া লড়াই। তা দেখতে ভীড় জমান কয়েক হাজার মানুষ। প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষায় আজ মঙ্গলবার কাড়া লড়াইয়ে আয়োজন বসেছিল আড়শা ব্লকের বামুনডিহা গ্রামে। জমজমাট কাড়া লড়াইয়ের মাঝে জমে উঠেছে মদের মৌতাত। আর তখনই বেরসিক হয়ে লড়াইয়ের আসরে লাঠি হাতে হাজির প্রমীলা বাহিনী। মদ বিক্রি বন্ধ করতে হবে স্লোগান দিয়ে তারা ভেঙ্গে দেন মদের অস্থায়ী ঠেক।
ফি বছর পুরুলিয়া সহ সাবেক মানভূমে কাড়া লড়াই দেখতে ভীড় জমান প্রচুর মানুষ। লড়াইয়ের আসরে বিক্রি হয় চোলাই মদ। সেই মদ খেয়ে বাড়িতে গিয়ে অশান্তি করে পুরুষেরা। মেলাতে করে ঝামেলা। ভন্ডুল হয়ে যায় মেলা। এক দিনের মেলা বসেছিল আড়শা ব্লকের বামুনডিহা গ্রামে। সেই মেলাতে বসেছিল কাড়া লড়াইয়ের আসর।সেই আসরেই প্রায় ২০ জনের প্রমীলা বাহিনী গিয়ে চোলাই মদের অস্থায়ী ঠেক ভেঙ্গে দেন। প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগে পুরুলিয়া ১ নং ব্লকের গাড়াফুসড়ো এলাকায় এই ভাবেই প্রমীলা বাহিনী “মদ হটাও,মাতাল হটাও, মহিলাদের সম্মান বাঁচান”এই শ্লোগান সামনে রেখে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে মিছিল করেছিল। বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিল গ্রামের ঠেকগুলোতে। একই রকম ভাবে আজকেও আসরে গিয়ে সরব হোন মহিলারা। প্রমীলা বাহিনীর মধ্যে সুনীতা লায়া, নিয়তি মাহাতোরা বলেন, চোলাই মদে সবাই আসক্ত হয়ে পড়ছে। বাড়িতে অশান্তি লেগেই আছে। মাতালের দৌরাত্ম্যে বন্ধ হচ্ছে এক একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। তাই আমরা পথে নেমেছি। মহিলাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
Post Comment