insta logo
Loading ...
×

ঝাড়খণ্ডের দূষণ আটকে দেবে পুরুলিয়ার ‘সবুজ পাঁচিল’?

ঝাড়খণ্ডের দূষণ আটকে দেবে পুরুলিয়ার ‘সবুজ পাঁচিল’?

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :

ঝাড়খণ্ডের শিল্পাঞ্চল থেকে ভেসে আসা বায়ুদূষণের প্রভাব দীর্ঘদিন ধরেই ভোগ করছে সীমান্তবর্তী পুরুলিয়া। দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবার কৌশল বদলেছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । শুধু নিয়মকানুন নয়, দূষণের বিরুদ্ধে প্রকৃতিকে সঙ্গী করেই তৈরি হচ্ছে ‘সবুজ পাঁচিল’। ঘন বনসৃজনের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী এলাকায় দূষণের ঢেউ আটকে দেওয়ার লক্ষ্যে চলতি বছরে পুরুলিয়া, কংসাবতী উত্তর ও কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের মোট ৪০৭ হেক্টর বনভূমিতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

রবিবার ও সোমবার দুই দিন ধরে এই বিশাল প্রকল্পের অগ্রগতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে পুরুলিয়ায় আসেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। তার সঙ্গে ছিলেন বন দফতরের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল ও রাজ্যের গ্রিন প্রজেক্ট শাখার প্রধান নির্বাহী আধিকারিক সৌরভ চৌধুরী, বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী দেবাশীষ চক্রবর্তী, পুরুলিয়ার ডিএফও অঞ্জন গুহ সহ বহু বনকর্তা। এর আগে পুরুলিয়া জেলার ঝালদা, মাঠা ও বলরামপুরের বিভিন্ন বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন কল্যাণবাবু। ঝালদার কুটিডি প্ল্যান্টেশন এলাকায় গাছের বৃদ্ধির অবস্থা ও পরিচর্যার অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন।

রবিবার তাঁরা কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের রঘুনাথপুর রেঞ্জের দুইটি বনসৃজন প্রকল্প এলাকায় পরিদর্শন করেন। সোমবার পরিদর্শন চলে পুরুলিয়া ও কংসাবতী দক্ষিণ বিভাগের আরও কয়েকটি স্থানে। প্রতিটি জায়গায় চারা লাগানো, পরিচর্যা, সেচব্যবস্থা ও গাছের বৃদ্ধির হার খতিয়ে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন আধিকারিকরা।

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, “ঝাড়খণ্ডের দিকে বড় শিল্পাঞ্চল হওয়ায় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বায়ুদূষণ পুরুলিয়ার দিকে ভেসে আসে। সেই প্রভাব রুখতেই ঘন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে একটি সবুজ পাঁচিল তৈরি করা হচ্ছে।প্রাকৃতিকভাবে দূষণ প্রতিরোধের জন্য এটি হবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান।”

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে পুরুলিয়ার আরও বিস্তীর্ণ এলাকায় একই ধরণের ঘন বনসৃজন করা হবে।

Post Comment