নিজস্ব প্রতিনিধি, বরাবাজার :
প্রতিবছরের মতো এবছরও শিক্ষার প্রসার ও সমাজসেবায় অবদান রাখার লক্ষ্যে বরাবাজার থানার সিন্দরী উত্তরণ কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে এক অনন্য সাংস্কৃতিক ও সম্মাননা অনুষ্ঠান আয়োজিত হলো। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারী কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদেরও সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে পুরুলিয়া জেলার সুপরিচিত ছৌ শিল্পী হেমচন্দ্র মাহাতোকে তাঁর দীর্ঘ শিল্পজীবন ও সাংস্কৃতিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে “পুরুলিয়া রত্ন” সম্মানে ভূষিত করা হয়। অপরদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত দুই কৃতি ছাত্র-ছাত্রীকে “উত্তরণ রত্ন” সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
রক্তদান আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য আগদোহলি সংগঠনকেও সংবর্ধনা জানানো হয়। তারা এ পর্যন্ত ১১৬টি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ কুমার রায় মাহাতো ও সাহেবরাম মাহাতো। এছাড়াও, এক অসাধারণ মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সজল কুমার মাহাতো—যিনি ইতিমধ্যেই ৬১ বার রক্তদান করেছেন—তাঁকেও “উত্তরণ সম্মাননা” প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি নাচ, গান, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি এবং মনোজ্ঞ আলোচনায় ভরপুর এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়। উপস্থিত ছিলেন দেশের নানা প্রান্তের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও সমাজসেবীরা।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুদূর শ্রীরামপুর থেকে আগত “ক্রন্দনরতা জননীর পাশে” কাব্যের কবি মৃদুল দাশগুপ্ত, বিশ্বের ১৯টি দেশ দ্বিচক্রযানে ভ্রমণকারী অভিযাত্রী অক্ষয় ভগৎ, মানভূম কালচার অ্যাকাডেমির সভাপতি হংসেশ্বর মাহাতো, কবি খগেন দাস, রমানাথ দাস, দয়াময় মাহান্তি, অতনু টিকায়িৎ, সজল কুন্ডু, এবং সিন্দরী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ মাহাতো সহ আরও বহু বিশিষ্ট জন।
পুরো অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কবি খুরশিদ আলম।
উত্তরণ কোচিং সেন্টারের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমাজ ও সংস্কৃতির বন্ধনকেও আরও দৃঢ় করে তুলেছে—এমনটাই মত অতিথি ও উপস্থিত দর্শকদের।










Post Comment