আরও জল্পনা বাড়ালেন মিঠুন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা: কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই সরগরম ঝালদার রাজনৈতিক মহল। কিন্তু ওই রিপোর্ট আসার ২৪ ঘণ্টা পরেও ঝালদা থানায় কোন অভিযোগ করেনি মৃতের পরিবার। কারণটা কি? তবে পূর্ণিমা দেবীর ভাইপো তথা তৃণমূল কাউন্সিলর মিঠুন কান্দু শুক্রবার বলেন, “কেউ অভিযোগ করুক বা না করুক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আমি অভিযোগ করবো। “
ঘটনার পর এই মিঠুন প্রশ্ন তুলেছিলেন তার কাকিমা অর্থাৎ পূর্ণিমা দেবীর বাড়িতে হঠাৎ করে সিসিটিভি বন্ধ হয়ে গেল কেন? এদিন এই বিষয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার মিঠুনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি কাকিমার বাড়ি অনেকদিন যায়নি। সিসিটিভি খারাপ ছিল কিনা সেটা আমি বলতে পারব না। ” সিসিটিভির বিষয় নিয়ে মিঠুনের দুই বক্তব্য জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ঝালদার রাজনৈতিক মহলে।
পূর্ণিমা দেবীর স্বামী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু আততায়ীদের হাতে খুন হওয়ার পর থেকেই শোকগ্রস্ত ছিলেন স্ত্রী। স্বামীর বিচারের জন্য যেভাবে তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তাতে হতবাক ঝালদা। কিন্তু কোথা থেকে যে কি হয়ে গেল তা বুঝতে পারছেন না পূর্ণিমা দেবীর পরিবার। মিঠুন বলেন, “সুস্থ সবল মানুষটা কিভাবে হঠাৎ করে মারা যেতে পারে? পুলিশকে সঠিক ভাবে তদন্ত করতে হবে।” ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার পাশাপাশি তার শরীরে কিছু অপ্রয়োজনীয় বস্তু ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে।
গত মহানবমীর রাতে ঝালদার স্টেশন পাড়ায় নিজের বাড়ি থেকে পূর্ণিমা দেবীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেই সময় তার ছেলে-মেয়েরা ঘরে ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণিমা দেবীকে ঝালদা ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানায়। ২০২২ সালের ১৩ই মার্চ বিকালে হাঁটতে বার হয়ে ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগরে আততায়ীদের গুলিতে খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করে সিবিআই। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চার্জ শিট দেওয়ার পর মামলা এখন পুরুলিয়া আদালতে বিচারাধীন। পূর্ণিমার মৃত্যুর পরে মিঠুনের সঙ্গে কংগ্রেস এবং বিজেপিও এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে।

Post Comment