নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
চতুর্দিকে রাস্তা খোঁড়া। ঢালাই রাস্তা খোঁড়ার ফলে জমেছে রাবিশের পাহাড়। জাইকা প্রকল্পে জল কবে মিলবে ঠিক নেই, খোঁড়া রাস্তা খোঁড়া করে দিচ্ছে মানুষকে। পুরুলিয়ার একের পর এক গ্রামের দৃশ্য কমবেশি একইরকম৷ এবার জাইকা প্রকল্পের ঢিমে তালে কাজ করার বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রী ডা: মানস ভুঁইয়া।
আজ পুরুলিয়া এসে মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেছেন, ” প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থা সময়মতো কাজ না করলে শোকজ করা হবে। প্রয়োজনে ব্ল্যাকলিস্ট করা হবে। কাজের অগ্রগতি যাতে দ্রুত হয় সেই বিষয়টি ডিএমএসপি দেখবেন। “
কয়েক বছর আগেই এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এখনও পর্যন্ত কাজের যা অগ্রগতি তাতে কাজ সম্পূর্ণ হতে ২০২৫ সাল লেগে যাবে। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
পুরুলিয়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের যে সকল কাজ বকেয়া রয়েছে সেগুলো খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে রূপায়ণকারী সংস্থাগুলো একাধিক কাজ একসাথে হাতে নেওয়ার কারণেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারছে না। এতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের যে সকল কাজ পড়ে রয়েছে
সেই কাজের অগ্রগতি দেখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে এদিন জল জীবন মিশনের কাজ দেখতে
পুরুলিয়াতেও জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও জাইকা প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রী ভুঁইয়া। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, জেলাশাসক রজত নন্দা ও পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সার্কিট হাউসের ওই বৈঠক মন্ত্রীর সটান নির্দেশ, পানীয় জল সংক্রান্ত কাজের খামতি মিটিয়ে কাজ করতে হবে দ্রুত। ডিএম, এসপিদেরকেও বিষয়টি দেখতে হবে।
Post Comment