insta logo
Loading ...
×

শহিদ মূর্তি কবে, প্রশ্ন মৌন মিছিলে

শহিদ মূর্তি কবে, প্রশ্ন মৌন মিছিলে

নিজস্ব প্রতিনিধি , নিতুড়িয়া:

তখনও রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় বসেনি তৃণমূল। ঘোর বাম আমল তখন। ২০১০ সালের ২৯শে মার্চ। নিতুড়িয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি শশীভূষণ প্রসাদ যাদবকে আততায়ীরা গুলি করে খুন করেছিল। কেটে গেছে ১৫ বছর। সে হত্যারহস্যের কিনারা হয়নি আজও। আজও শহিদ শশীভূষণের মূর্তি বসলো না পুরুলিয়ার খনি অঞ্চল নিতুড়িয়ায়। নিতুড়িয়ার পারবেলিয়া ইসিএল গ্রাউন্ড থেকে আমডাঙ্গা এলাকা পর্যন্ত শহিদ স্মৃতির মৌন মিছিল যেন বলতে চাইল সে কথাই। সেই কথার প্রতিধ্বনি পুরুলিয়ার পুর প্রধান নবেন্দু মাহালির কথায়। শশীভূষণ সাংগঠনিক নেতা নন ছিলেন জননেতা, স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। মূর্তি নির্মাণ করা যায়নি বলে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন শশীভূষণপ্রসাদ যাদব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি তথা নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব। তাঁর দাবি, মূর্তি বসবেই। এদিন জননেতার ছবিতে ফুল,মালা দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান বাম-ডান নির্বিশেষে রাজনৈতিক দলগুলির উপস্থিত সকলেই।

অন্যান্য বারের মত এবারও শনিবার শহীদ দিবসে মৌন মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় সেখানে একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি সভার মধ্য দিয়ে শহীদ দিবস পালন হয়। ওই সভায় ছিলেন পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি।
তিনি বলেন, ” নিতুড়িয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি শশীভূষণ প্রসাদ যাদব শুধু সাংগঠনিক নেতা নন। তিনি একজন জননেতা ছিলেন। মানুষের দাবি ওই শহীদ নেতার একটা মূর্তি বসানো হোক। কিন্তু সেই কাজ এখনও করা যায়নি। এই কাজ দ্রুত করতে হবে।” ওই সোসাইটি তথা বলেন, ” আমরা এই কাজ করতে পারিনি। আমরা এখানকার মানুষজনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে ওই জননেতার মূর্তি বসবেই। ” এ দিনের মৌন মিছিলে অংশ নেওয়া পুরুষ- মহিলাদের হাতে
শহীদ শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদবের ছবি সম্বলিত
প্ল্যাকার্ড ছিলো। শ্রদ্ধাঞ্জলি সভায় ওই শহীদ তৃণমূল নেতার স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Post Comment