নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
পরিবর্তন সভায় হুংকার ছাড়লেন মহাগুরু। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে পরিবর্তন সভায় যোগ দিতে এসে তিনি বললেন, “২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন জিততে না পারলে আমাদের অস্তিত্ব শেষ। তাই যেখানে যা মনোমালিন্য সব ভুলে অন্তত ভোট পর্যন্ত এক ছাতার তলায় থাকতে হবে।” পুরুলিয়ার ৯ টি আসনেই বিজেপি জিতবে এই মন্তব্য করে মিঠুন বলেন, এসআইআর হচ্ছেই। যতই তৃণমূল বিরোধ দেখাক না কেন ভিনদেশি ভোটার বাদ যাবেই।”
এসআইআর আবহে কলকাতা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। আতঙ্কে ক্রমশই ফাঁকা হচ্ছে নিউটাউন ইকো পার্কের বনবিবি তলা বস্তি। বিভিন্ন জেলা থেকেই এমন খবর আসছে, বলেন মিঠুন।
এদিনের পরিবর্তন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের বেশ কিছু তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় অবৈধভাবে জন্ম শংসাপত্র দেওয়ার কাজ চলছে । বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জন্ম শংসাপত্র দেওয়ার কাজ চলছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএলওদের ভয় দেখিয়ে তাদের মতো কাজ করাচ্ছে তৃণমূল। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবো যে সমস্ত বিএলওরা নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।
সাংবাদিকরা উত্থাপন করেন যে কান্দির পর বহরমপুরে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি।
এবিষয়ে রাহুল সিনহা বলেন, এসআইআর আতঙ্কে কেউ মারা যাননি । তৃণমুলের ছড়ানো আতঙ্কে আত্মহত্যা করছে তারা। খুনি তৃণমূল ।
সাংবাদিকরা বলেন, কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের তপসিয়ার জিজে খান রোডে নথি পুড়ে যাওয়ার কারণে ১২০ জনের কোনও নথি নেই। সমস্যায় পড়েছেন বিএলওরাও।
এবিষয়ে রাহুল সিনহা বলেন, নথি কোথাও না কোথাও থাকবে । যদি না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করার জায়গা আছে। কিন্তু রাস্তার দাঁড়িয়ে এসআইআর- এর প্রতিবাদ বরদাস্ত করা যায় না । এসআইআর শুরু হওয়ার পর তৃণমূল যেমন ভীত হয়েছে, তেমনি রোহিঙ্গাদের ভেতরেও ভয় ঢুকেছে। তারাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে ।
কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির বিএলএকে জুতোর মালা পরানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে রাহুল সিনহা বলেন, যারা এসব কাজ করছে তারা আইনের চোখে অপরাধী। তারা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের লোক। যারা এরকম কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।











Post Comment