insta logo
Loading ...
×

পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় আবহাওয়া বদল, ভালো ফলনেও হতাশা

পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় আবহাওয়া বদল, ভালো ফলনেও হতাশা

দেবীলাল মাহাত, পুরুলিয়া:

সপ্তাহান্তের শেষে বাংলা নববর্ষের পৌষমাস। কথায় আছে, ‘কারোও পৌষমাস, কারোও সর্বনাশ’। বেশ কয়েক বছর ধরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় প্রবাদটি মিলে যায় চাষিদের ক্ষেত্রে। শীত পড়তেই চাষিরা বাড়িতে তোলে আমন ধান। এই সময় সোনালি ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। কোথাও ধান কেটে রাখা হয়েছে জমিতে। কোথায় আবার বেঁধে রাখা হয়েছে চাষের জমিতেই। এই পরিস্থিতিতে অসময়ের নিম্নচাপের বৃষ্টিপাত চিন্তায় ফেলেছে জেলার চাষিদের।
তবে এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে এই বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। মুখে হাসি ফুটেছিল চাষিদের। চাষিরা জানান, কালি পুজার পর ঘুর্নিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল আমন ধানের। ধান পড়ে গিয়ে জলের তলায় চলে গিয়েছিল। পড়ে যাওয়া ধানে বের হয়েছিল অঙ্কুরোদগম। সেই ধাক্কা সামলে জেলায় আবার জোর কদমে শুরু হয়েছিল ধান কাটার কাজ। কিছু ধান খামারে তোলা গেলেও, অধিকাংশ ধান পড়ে রয়েছে জমিতেই। আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে জেলায় শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি । এতেই বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। কেবল শীত কালেই নয়, ধান চাষিদের সমস্যা লেগেই থাকে ধানের পুরো মরশুমেই। তাই আষাঢ়, শ্রাবন মাস এলেও, চাষিদের বর্ষাকাল আসে না। বীজ ফেলে তাকিয়ে থাকতে হয় আকাশের দিকে। আবার শীতকালে পাকা ধান চলে যায় জলের তলায়। ফলে ধান লাগানো থেকে বাড়িতে তোলা পর্যন্ত সবসময় চিন্তায় থাকতে হয় চাষিদের। তুম্বা-ঝালদা গ্রামের কৃষক চিত্তরঞ্জন মাহাতো বলেন,” প্রায় ৪ বিঘা ধান জমিতেই পড়ে রয়েছে। কতটা ধান বাড়িতে তুলতে পারবো, সেই নিয়েই চিন্তায় রয়েছি।” বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বায়নের প্রভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। পরিবর্তন ঘটেছে জলবায়ুর। এই পরিবর্তনের ফলে চাষিদের চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে। মেঘ সরে গিয়ে কবে আকাশ পরিষ্কার হবে সেই দিকেই তাকিয়ে জেলার চাষিরা।

Post Comment