বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, পুরুলিয়া:
অন্তর্ঘাতের জেরে প্রায় সামান্য ভোটে লোকসভায় হারার পর এই প্রথম সমগ্র জেলা জুড়ে বৃহৎ কর্মসূচিতে নামছে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল। ধারাবাহিকভাবে চলা আর জি কর আন্দোলনে বিরোধীদের অপপ্রচারের পরেও এই জেলার শাসক দলের নেতৃত্ব তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারেনি বলে অভিযোগ। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল এতটাই কোনঠাসা হয়ে গিয়েছিল যে উৎসবের মরশুমেও দুর্গাপূজাকে ঘিরে জনসংযোগ কর্মসূচিতেও ধাক্কা খায়। তাই কাল রবিবার থেকে শুরু হওয়া বিজয়া সম্মেলনকেই সাংগঠনিকভাবে মজবুত করার কাজে ব্যবহার করতে চাইছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ২৯ শে অক্টোবর পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাতো বলেন, ” রবিবার থেকে আমাদের এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ২৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। “
রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই এই কর্মসূচি পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের। কাল রঘুনাথপুর শহর দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। জেলার ২০ টি ব্লক ও ৩ টি শহরের জন্য বিজয়া সম্মেলন কর্মসূচিতে জেলা স্তরের কোন কোন নেতারা থাকবেন তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা মোতাবেক ওই নেতৃত্ব উপস্থিত থেকে বিজয়া সম্মেলন কর্মসূচিকে সফল করবেন। রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব জেলাকে জানিয়েছে, যে সকল নেতা-কর্মী এখন সক্রিয় নন। একেবারে বসে পড়েছেন। তাদেরকেও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে দলীয় কাজে নামানোর নির্দেশ রয়েছে। জেলাতেও বিভিন্ন ব্লকে গোষ্ঠী কলহে বহু নেতা-কর্মী বসে রয়েছেন। এই বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে বলেও নির্দেশ এসেছে। রবিবার রঘুনাথপুর শহরের পর ২১ তারিখ রঘুনাথপুর ১, ২২ তারিখ কাশিপুর, ২৩ তারিখ হুড়া, ২৪ তারিখ বলরামপুর, ২৫ তারিখ পুঞ্চা, ২৬ তারিখ পাড়া ও রঘুনাথপুর ২, পুরুলিয়া ১ বরাবাজার, ২৭ অক্টোবর মানবাজার ১, সাঁতুড়ি, বান্দোয়ান, মানবাজার ২ ঝালদা ২, জয়পুর, পুরুলিয়া ২, নিতুড়িয়ার বিজয়া সম্মেলন হবে। ২৮ তারিখ বাঘমুন্ডি ছাড়াও রয়েছে আড়শা। ২৯ তারিখ ঝালদা ১, ঝালদা শহরে ওই কর্মসূচি হবে।











Post Comment