insta logo
Loading ...
×

সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দিতে অবৈতনিক প্রশিক্ষণ জয়পুরে

সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দিতে অবৈতনিক প্রশিক্ষণ জয়পুরে

দেবীলাল মাহাত, জয়পুর:

সেনাবাহিনীতে নিজের জীবনকে নিয়োজিত করতে চান? কর্মস্থল করতে চান সেনাবাহিনীর কাজে? সেই
স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এলো ‘যোশ একাডেমি’। সম্প্রতি জয়পুর ব্লকের ফরেষ্ট মোড়ে এই কোচিং সেন্টারের উদ্বোধন হয়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে এই কেন্দ্র। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পরীক্ষায় যাতে এলাকার ছেলে-মেয়েরা সফল হতে পারে তার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোচিং-র ব্যবস্থা করেছে যোশ একাডেমি। এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার ছেলে- মেয়ে সহ অবিভাবকরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর জেলার ছেলে-মেয়েদের লক্ষ্য থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। ইচ্ছে থাকলেও, সঠিক পথ প্রদর্শকের অভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সাথেসাথে বাধা হয়ে ওঠে অর্থ। লক্ষ্য অভিভ্রষ্ট হয়। স্বপ্ন পূরণ হয় না। সেই স্বপ্নকে পূরণ করতেই এগিয়ে এলো ওই একাডেমি। জয়পুর ব্লকের পিপড়াট্যাঁড়, কুসুমটিকরি , কাহান সহ বিভিন্ন গ্রামের ৬৪ জন ছেলে-মেয়ে কে নিয়ে প্রাথমিক ভাবে এই কোচিং সেন্টার শুরু করেছে ওই একাডেমির তিন পথ প্রদর্শক। তাঁরা হলেন, কোটশিলা থানার উড়ুসাড়াম গ্রামের বাসিন্দা, প্রাক্তন ভারতীয় সেনা কর্মি রামকৃষ্ণ মাহাত, উকমা গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক সিদ্ধেশ্বর মাহাত ও জয়পুর থানার পলাশটি গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিবেকানন্দ মাহাত। ওই একাডেমির কর্নধার প্রাক্তন সেনা কর্মি রামকৃষ্ণ মাহাত জানান, “জেলার ছেলে মেয়েদের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা। আমি ১৯ বছর ৬ মাস ধরে নিষ্ঠার সাথে ভারতীয় সেনাতে কাজ করে অবসর নিয়েছি। যারা
সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান। কিন্তু প্রস্তুতির কোনো সুযোগ মেলে না। তাদের সাহায্য করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” এখানে শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি দেওয়া হবে। কোচিং সেন্টার যোগ দেওয়া সীমা মাহাত, সৌরভ কালিন্দী বলেন, “আমাদের এলাকায় এই রকম কোনো কোচিং সেন্টার ছিল না। খবর পাওয়া মাত্রই ভর্তি হয়েছি।” প্রত্যন্ত এলাকায় এই ধরনের কোচিং সেন্টার পেয়ে খুশি এলাকার ছেলে-মেয়েরা। খুশি অভিভাবকেরাও।

Post Comment