তাপস কুইরি, ঝালদা ও বিশ্বজিৎ সিং সর্দার,পুরুলিয়া :
রাত তখন সাড়ে নটা। পুরুলিয়া বনবিভাগের বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের তুনতুড়ি গ্রামে রাস্তায় হাঁটছে দুই গজরাজ! উৎসবের মরশুমে তখনও বেশ লোকজন ওই গ্রামে। আচমকা ওই বুনো হাতিকে দেখে উৎসাহী মানুষজনের তো আনন্দের শেষ নেই। সেইসঙ্গে আতঙ্কেও কিছু মানুষ ঘরবন্দি হয়ে যান। বন্ধ করে দেন দরজা-জানলা। অনেকেই আবার ছাদে উঠে গজরাজের দুলকি চাল দেখতে থাকেন। বুধবার রাতে এমনই ছবি ধরা পড়লো বাঘমুন্ডির তুনতুড়িতে। পরে অবশ্য বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের কর্মীদের তৎপরতায় পটমশাল হয়ে ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল বনাঞ্চলে ওই হাতি দুটিকে পাঠাতে পারে বনদপ্তর। পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “ওই দুটি হাতিকে নিরাপদে ঝাড়খন্ডে পাঠানো গিয়েছে। হাতি যাতে লোকালয়ে না আসে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক। এসএমএসের মাধ্যমে যেমন প্রচার করা হচ্ছে। তেমনই আমাদের মাইকিংও চলছে। “
পুরুলিয়া বনবিভাগের ঝালদার হেঁশলা থেকে ওই দুটি দলছুট বুনো হাতি বাঘমুন্ডি রেঞ্জের কালিমাটি বিটে ঢুকে পড়ে। এরপর বন দপ্তরের কানে যেতেই বন্যপ্রাণ তাড়াতে ওই বাহন ঐরাবতকে রাস্তায় নামানো হয়। ওই ঐরাবতের সঙ্গেই ছিল র্যাপিড রেসপন্স টিম। দুই গজরাজের পেছনে ঐরাবত সাইরেন বাজিয়ে তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছিল। বনকর্মীদের মাথায় রাখতে হচ্ছিল যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সেইসঙ্গে হাতি গুলিকে নিরাপদে ঝাড়খন্ডমুখি করাই উদ্দেশ্য ছিল ওই টিমের। বাঘমুন্ডির কালিমাটি বনাঞ্চল থেকে ওই দুটি হাতি পিড়রগড়িয়া, গাগী হয়ে তুনতুড়ি গ্রামের রাস্তায় ওঠে। পুরুলিয়া বনবিভাগ ও লাগোয়া ঝাড়খন্ড সীমান্তে বর্তমানে ৩০ টির বেশি হাতি রয়েছে। তারা মূলত ঝালদা, বাঘমুন্ডি, অযোধ্যা বনাঞ্চলে বিচরণ করছে।








Post Comment