নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
একজন অবসর নিয়েছেন, অন্যজন ছুটিতে। ফলে চিকিৎসকের অভাবে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের যক্ষা চিকিৎসা কার্যত থমকে। চিকিৎসক না থাকায় গত কয়েক দিন ধরে বিপাকে পড়েছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, যক্ষা বিভাগের একমাত্র চিকিৎসক ২৭ নভেম্বর থেকে বিশেষ কারণে ছুটিতে। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রতিদিন পুরুলিয়া সদর, পুরুলিয়া ১ ও ২, জয়পুর, আড়শা-সহ একাধিক ব্লক থেকে আসা ৫০–৬০ জন রোগীকে ফিরতে হচ্ছে নিরাশ হয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা অভয় মাহাতো বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কাছে। অভয়ের বক্তব্য, “ডাক্তার না থাকায় বহু টিবি রোগী কোনও চিকিৎসাই পাচ্ছেন না। যক্ষার মতো গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” অভিযোগ, “স্পুটাম টেস্ট, এক্স-রে, সিবিসি, মান্টু টেস্ট—এসব অত্যাবশ্যক পরীক্ষা কয়েক দিন ধরেই বন্ধ। স্বাস্থ্য দফতরকে একাধিকবার অবগত করা হলেও স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেই। বোর্ড ঝুলিয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে ডাক্তার আসবেন ১১ ডিসেম্বর। লিখে দিলেই কি দায়িত্ব শেষ? জেলায় কি এমন কোন চিকিৎসক নেই, যিনি এই বিভাগটি চালাতে পারবেন? “
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস অবশ্য দাবি করেন, “ওই বিভাগে দু’জন চিকিৎসক ছিলেন। একজন রিটায়ার করেছেন, আর যে চিকিৎসক রয়েছেন, তিনি বিশেষ কাজে ছুটিতে। অতিরিক্ত চিকিৎসক না থাকায় আপাতত নতুন করে কাউকে পাঠানো যায়নি।” তবে তিনি জানান, ৫২ জন চিকিৎসকের নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন পাঠানো হয়েছে। তাঁর দাবি, “কোনও রোগীকে ফেরত পাঠানো হয়নি।”
এদিকে পরিস্থিতি ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। যক্ষা চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দীর্ঘদিন অচল থাকায় দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তুলছেন রোগীর পরিবার এবং বাসিন্দারা।











Post Comment