নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা :
সঞ্চালকরা কি অপসারিত হলেন? নাকি নিয়মের জটিলতা বাঁচিয়ে দেবে সঞ্চালকদের? প্রশ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে
ঝালদা ১ নং ব্লকের মাড়ু-মসিনা গ্রাম পঞ্চায়েত। আজ পঞ্চায়েতের সঞ্চালক অপসারণ সংক্রান্ত সভাতে অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূলের সদস্যরা। নির্বাচনের পর থেকেই এই পঞ্চায়েত ঝালদার হট সিট হয়ে থেকেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দলই। ১১টি আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ৫টি, তৃণমূল ৩টি, নির্দল ২টি আসন দখল করে। ১টি আসনে জয়ী হন আজসু দলের প্রার্থী। বোর্ড গঠনের আগে নির্দল থেকে জয়ী দুই পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বোর্ড গঠনের দিন আজসু দলের সদস্য তৃণমূলকে সমর্থন করলে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। প্রধান হন নির্দল থেকে জয়ী কিন্তু পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া উর্মিলা নায়ক। আজসু দলের নুনীবালা কালিন্দীকে উপপ্রধান পদটি ছেড়ে দেওয়া হয়। উপসমিতিগুলির সঞ্চালক পদ তৃণমূলের কব্জায় থাকে। কিন্তু কয়েকমাস আগে জটিলতা দেখা দেয়। উর্মিলা দেবী তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড দখল করে কংগ্রেস। তারপরই তৃণমূলের কব্জায় থাকা ওই সঞ্চালকদের অপসারণের পরিকল্পনা শুরু হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্চালক পদে থাকা তিনজন তৃণমূল ও একজন আজসু দলের সদস্যকে অপসারণের দাবিতে চলতি মাসের ১৪ তারিখ ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে আবেদন জানান কংগ্রেসের সদস্যরা। চিঠিটির কপি পাঠানো হয়েছিল ব্লক প্রশাসনের কাছে। তারই জেরে আজ ওই পঞ্চায়েতের সচিবের তরফে বিশেষ সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রধান উর্মিলা নায়ক সহ কংগ্রেসের ছয় এবং কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্য মোট আটজন সভাতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সভার ধারেকাছে দেখা যায়নি তৃণমূল ও আজসুর কোন সদস্যকে। কংগ্রেসের রোহিন কুমার ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পার্থসারথি মাহাতোর দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে ওই চারটি উপসমিতির সঞ্চালকদের অপসারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়মমাফিক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে সভা শুরুর আগেই ব্লক প্রশাসনের কাছে ওই চারজন সঞ্চালক আবেদন জমা দিয়ে সভাটি বাতিলের জন্য দাবি করেন। ঝালদা ১নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি জয়প্রকাশ মাহাতোর দাবি,পঞ্চায়েত আইন মেনে সভা ডাকা হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে।
Post Comment