পুরুলিয়া মিরর ডিজিটাল ডেস্ক :
বছরে শুরুতেই ফিরে এসেছে হাড়কাঁপানো শীত। ঠান্ডায় শৈল শহর কালিম্পংকে পুরুলিয়া হারিয়ে দিল। পয়লা জানুয়ারি কালিম্পং যখন সর্বনিম্ন ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মেখেছে, সেখানে পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়ার থেকে তাপমাত্রা কম কেবল শৈলরানি দার্জিলিংয়ের৷ আর এই শীতে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা পুরুলিয়ার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।

শুধু পুরুলিয়া নয় পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়াতেও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। সমস্ত জায়গাতেই ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের ঢল নেমেছে। পিকনিক স্পটগুলো ভিড়ে থিক থিক করছে। একদিকে যেমন সেজে উঠেছে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর , তেমনই সেজে উঠেছে সুন্দরী অযোধ্যা। এছাড়াও নীল জলরাশি ও সবুজ অরণ্যে ঘেরা খয়রাবেড়া পর্যটনকেন্দ্রেও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। অনেকেই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম হিসেবে এই জায়গাটি বেছে নেন।

মানবাজারের দোলাডাঙা, সাঁতুড়ির বড়ন্তি সহ সর্বত্র পর্যটকদের ঢল। শহরের উপকণ্ঠে সুরুলিয়া জু-ও সেজেছে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে। শীতের আমেজ গায়ে মাখিয়ে হুল্লোড়ে মেতেছে সকলে। শুধু পিকনিক নয় শীতের আমেজও চেটেপুটে উপভোগ করছেন পর্যটকেরা। নাচ,গান আনন্দের মধ্যে দিয়ে জমে উঠেছে নববর্ষ। শুধু বাঁকুড়া বা পুরুলিয়া নয় পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও বহু মানুষ এই সমস্ত জায়গায় ভিড় করছেন। নতুন বছরের আগমনে উৎফুল্ল সকলে।

পর্যটক কোয়েল চ্যাটার্জি, তসবিরা বেগম, নিশা প্রধানরা বলছেন, “রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে পুরুলিয়া এখন বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম পুরুলিয়া আসার।”
সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে রুখা মাটির এই জেলাতে। তবে বছরের মধ্যে শীতের মরশুমে পর্যটকদের ঢল আরও বেড়ে যায়। তাই শীতের আমেজ গায়ে মেখে বছরের শুরুতেই জমজমাট জঙ্গলমহল।











Post Comment