বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, বলরামপুর :
এ এক করুণ কাহিনী! প্রকৃতির রোষে এক নিমেষে সর্বস্ব হারালেন প্রধান মাহান্তী। ২১ মার্চ, শুক্রবার দিনের প্রবল ঝড়ে উড়ে যায় তাঁর বসতঘরের ছাউনি। বলরামপুর বরাবাজার রোডের সেকরাপাড়ার দুর্গা মন্দিরের সামনে বসবাসকারী এই সাধারণ টোটোচালক হয়ে গেলেন গৃহহীন। স্ত্রী ছিলেন চিকিৎসার প্রয়োজনে বাইরে। তাই প্রাণে বাঁচলেও ঘরবাড়ির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ফোন মারফত জানতে পারেন তাঁর দাদার কাছ থেকে। বাড়ি ফিরে দেখেন, ছাউনি সম্পূর্ণভাবে উড়ে গিয়েছে। ঘরের ভেতরের জিনিসপত্র ভিজে একাকার।

প্রধান বাবু জানান, “বহুবার ব্লক ও পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে সরকারি ত্রাণ বা ত্রিপলের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু আজও কিছু পাইনি। ঘর মেরামতের মতো টাকাও নেই। নিজে টোটো চালিয়ে কোনোভাবে সংসার চলছে।” বর্তমানে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মায়ের বাড়িতে। কিন্তু সেখানকার অবস্থাও ভালো নয়। ভাঙাচোরা ঘরে ঠাসাঠাসি করে কোনওরকমে দিন কাটছে তাঁদের।

“ঘরের ওপর ছাউনি নেই, ছোট ছোট বাচ্চারা কষ্ট পাচ্ছে। এখন তীব্র গরম, কাল বৃষ্টি আসবে। কোথায় রাখব ওদের?” প্রশ্ন প্রধানের। সোমবার দুপুরে বলরামপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দপ্তরে হাজির হন তিনি। সরকারি সাহায্যের আশায় আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর আবেদন, “একটা ত্রিপল কিংবা মেরামতের কিছু টাকা পেলে মাথার ওপর অন্তত একটা ছাদ দিতে পারব।”








Post Comment