সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া:
বড়দিনের ৬ দিন আগেই উৎসবের রোশনাই ছড়িয়ে পড়ল জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায়। কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল-র সঙ্গে যুক্ত হল ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই জেলা। যিশু-র জন্মদিন আসতে কয়েকটা দিন বাকি থাকলেও পর্যটকে যেন
ছয়লাপ পুরুলিয়া। হোটেল, লজ, কটেজ, রিসর্ট সবই কার্যত হাউসফুল। সেই সুযোগে পর্যটনকে নতুন মাত্রা দিতে রাজ্য পর্যটন দপ্তর কলকাতার পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, হুগলি এমনকি পুরুলিয়াকেও যুক্ত করেছে ক্রিসমাসের আনন্দে।

‘এক্সপিরিয়েন্স বেঙ্গল’ ট্যাগলাইনে আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরুলিয়ার দুই ঐতিহ্যবাহী গির্জা—জিইএল চার্চ ও অ্যাসেনশন চার্চ। জেলার প্রাচীনতম এই দুই গির্জাতেই বড়দিন উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। ঐতিহাসিক এই গির্জাগুলিকে কেন্দ্র করেই জঙ্গলমহলের হেরিটেজ ট্যুরিজমকে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার ক্রিসমাস সূচনার অনুষ্ঠানে কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয় জিইএল চার্চ প্রাঙ্গণে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন
বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, জেলাশাসক সুধীর কোন্থাম, পুলিশসুপার বৈভব তেওয়ারি
প্রমুখ।
গত দেড় দশক থেকে পুরুলিয়ায় পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অযোধ্যা, গড় পঞ্চকোট ও দক্ষিণ সার্কিট—এই তিনটি পর্যটন সার্কিটে বড়দিন থেকে নতুন বছর পর্যন্ত উপচে পড়ে ভিড়। তবে ইদানিং সারা বছরই পর্যটকের আনাগোনা অব্যাহত রয়েছে এই জেলায়।
‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’—এই বার্তাকে সামনে রেখে কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল চলবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই উৎসবের অঙ্গ হিসেবে আলোকমালায় সেজে উঠেছে পুরুলিয়াও। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, জেলা গ্রামোন্নয়ন সংস্থা ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের ভবনের পাশাপাশি শুক্রবার থেকে সাজানো হবে জেলা প্রশাসনিক ভবন ও জেলা পুলিশ অফিসও। উৎসবের আলোয় ঝলমল করছে জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া।
এখন শুধু-ই বিউগল বাজার
অপেক্ষা।











Post Comment