দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
আড়শা ব্লকের প্রাণকেন্দ্র সিরকাবাদ। বিভিন্ন কাজে কয়েক হাজার বাসিন্দার এখানে আনাগোনা লেগেই থাকে। কিন্তু এখানে নেই কোনো শৌচাগার।ফলে নিত্যদিন সমস্যায় পড়তে হয় এখানে আসা মানুষদের। বাধ্য হয়ে মানুষকে ‘স্বচ্ছ ভারত’ বা ‘নির্মল বাংলা’ র কথা ভুলে গিয়ে শৌচকর্ম করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। শুধু সিরকাবাদ নয়, আড়শা ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে একই অবস্থা।
ব্লক,থেকে হাসপাতাল, কৃষি দফতরের কার্যালয় থেকে আই সি ডি এস কেন্দ্র,ভূমি সংস্কার দপ্তরের অফিস থেকে লাইব্রেরী ,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমস্ত কিছুই রয়েছে সিরকাবাদে। কিন্তু এলাকা জুড়ে কোথাও শৌচাগার দেখতে পাওয়া যায় না। অভিযোগ ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে জেলা পরিষদ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে সিরকাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চত্বরে একটি আধুনিক মানের শৌচাগার বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটিও ২ বছর ধরে জলের সংযোগের অভাবে তালাবন্ধ। ফলে হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় স্বজনদের ক্ষোভ বাড়ছে।এরই মধ্যে দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। গজিয়ে উঠেছে গাছের শিকড়। আগাছায় ভরেছে শৌচাগার চত্বর ।
চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা আড়শা ব্লকের জামবাদ গ্রামের পদ্মাবতী কুমার, কেন্দা গ্রামের সীমা মাহাত জানান, “এত গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও শৌচাগার নেই। রোগী সহ তাদের আত্মীয় স্বজনদের কথা ভেবে যে কোনো প্রকারে এখানে জলের ব্যবস্থা করা দরকার।
এই হাসপাতাল, ব্লকের গা ঘেঁষেই চলে গিয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে পর্যটকদেরও আনাগোনা লেগেই থাকে। এলাকার মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল আখ। আখ খেত দেখার জন্য জন্য বহু পর্যটক এখানে দাঁড়ান। শৌচাগার দেখতে না পেয়ে তাঁদেরও হতাশ হতে হয়।কলকাতা থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে এসেছিলেন সঞ্জয় চৌধুরী। পাহাড় থেকে নামার পথে সিরকাবাদে দাঁড়িয়ে শৌচাগারের খোঁজ করছিলেন। শৌচাগার নেই শুনে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি।
সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন সিরকাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বি এম ও এইচ ডাঃ তনয় কৈবর্ত্য । তিনি জানান “হাসপাতালে জলের সমস্যা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। রোগী , আত্মীয়স্বজন,নার্স, ডাক্তারবাবু সকলেই জলের সমস্যায় ভোগেন।বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি হাসপাতালে শীঘ্রই জলের সমস্যা মিটবে।”
Post Comment