দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
গোপালের ১০০ টাকা অনুদানেই শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো। তারপর থেকেই মা উমার আরাধনা হয়ে আসছে আড়শা ব্লকের বেলডি গ্রামে। সেই পুজো এবার ৪ বছরে পা দিল।ওই পুজোকে ঘিরে এখন গ্রামে সাজো সাজো রব।
আড়শা ব্লকের প্রাচীন ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম বেলডি। গ্রামে পুজো না হওয়ায় সকলের মন খারাপ হয়ে যেত। পুজো দেখতে যেতে হতো ১২কিমি দূরে শহর পুরুলিয়ায়। বা ৫ কিমি দুরে ভুল গ্রামে। সময়টা ২০২০ সালের আগষ্ট মাস। হরি মন্দির সংস্কারের বিষয়ে আলোচনায় বসেন গ্রামের লোকজন। সেই আলোচনায় উঠে আসে গ্রামে দুর্গাপুজা না হওয়ার আক্ষেপ। সেই সময় জনৈক গোপাল নামে এক ব্যক্তি দান করেন ১০০টাকা। কিন্তু কে সেই গোপাল ? তার বাড়িই বা কোথায় ? আজও তার খোঁজ মেলেনি। তারপর সকলেই সিদ্ধান্ত নিলেন এবার মায়ের পুজা করতেই হবে। সেই ১০০ টাকা দিয়েই ওই বছর বিজয়া দশমী থেকে শুরু হলো মন্দির তৈরির কাজ। পরের বছর সেই মন্দিরেই ২০২১ সাল থেকে শুরু হল গ্রামে প্রথম দুর্গাপুজা। ফলে আনন্দের সীমা ছিল না গ্রামবাসীদের মধ্যে। এই পুজোয় বেলডি, ঝরিয়াডি, পাথরাবেড়া, হাড়ানামা গ্রামগুলোকে একসূত্রে বেঁধেছে। পুজো কমিটির সদস্য শম্ভুনাথ মাহাত জানান, “এই বছর আমাদের পুজো ৪ বছরে পা দিলো। গ্রামে পুজো না হওয়ায় আক্ষেপ দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। গোপালের ১০০ টাকার অনুদানের পরেই গ্রামে প্রথম দুর্গাপুজা শুরু করা হয়।” এবার পুজোর দিন গুলোতে রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
Post Comment