নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: আবাস প্লাস তালিকায় নাম না থাকায় যাচাইকরনের কাজে বাধা। পুরুলিয়ার ১ ব্লকের সোনাইজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানকে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখালেন আম জনতা। পুলিশ এলেও তাদের বিক্ষোভ থামেনি। তালা মুক্ত করা যায়নি পঞ্চায়েত প্রধানকে। পরে সন্ধ্যা হলে আন্দোলনকারীরা নিজেরা তালা খুলে জানিয়ে দেন মঙ্গলবার থেকে এই আন্দোলন তাদের ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
সম্প্রতি বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান-ই যাচাইকরনের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে নিজের গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা লাগিয়ে দেন। আর এদিন সোমবার পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের সোনাইজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস প্লাস তালিকায় নাম সংযোজনের দাবিতে তালা লাগিয়ে চলে বিক্ষোভ। এই এলাকায় গত বছর আবাস প্লাস তালিকা থেকে বাদ পড়া প্রাপকরা এদিন মূলত বিক্ষোভ দেখান।
তাদের বিক্ষোভে প্রধান ছাড়া তালাবন্দি হয়ে যান পঞ্চায়েতের কর্মীরাও।
পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) রানা বিশ্বাস বলেন, ” আমরা আবাস প্লাস অপেক্ষমান তালিকা যাচাইকরনের কাজ করছি। এই কাজের মধ্য দিয়ে নাম বিয়োজন হতে পারে। সংযোজনের কোন বিষয় নেই। সংযোজনের বিষয়টি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ারভুক্ত।” শাসক দলের প্রধান চন্দনা মাহাতো বলেন, “যাচাইকরনের কাজে আমাদের কোন হাত নেই। যা করছে প্রশাসন। “
আসলে আবাস প্লাসের তালিকার সময় গোটা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলাতেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। অভিযোগ ছিল ওই তালিকা সঠিক ভাবে তৈরি হয়নি। যারা ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি তারা সেই সময়ই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এখন ওই তালিকা যাচাইকরনের কাজ শুরু হওয়ায় তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।
এই তালিকায় জঙ্গলমহলের এই জেলায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ জনের সমীক্ষা করবে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। তবে শুধু আবাস প্লাস অপেক্ষমান তালিকা যাচাইকরনের কাজ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাড়ির জন্য যারা আবেদন করেছিলেন সেই তালিকার আরও ৪ হাজার উপভোক্তার যাচাইকরনেরও কাজ হবে। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিককালে বন্যা পরিস্থিতিতে বা রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে এই বিষয়টিও সমীক্ষা চালাবে প্রশাসন। সমীক্ষা শেষে একটি তালিকা করার পর প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশও খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত তালিকার অনুমোদন দেবে। সেই মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামত ডিসেম্বরে রাজ্যের সাহায্যে বাড়ির অর্থ পাবেন উপভোক্তারা। যাকে ঘিরে খুশি ওই তালিকায় থাকা প্রাপকরা।
Post Comment