নিজস্ব প্রতিনিধি, বলরামপুর : বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১২ বিদ্রোহী তৃণমূল সদস্যের অভিযোগ এবার সরাসরি শুনবে প্রশাসন। কোন ক্ষোভে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইলেন তাঁরা, সে বিষয়ে বিশদ জানতে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনিক ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য শুনবেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদের এক আধিকারিক। শুনানির দিন রয়েছে সোমবার। পুজোর ছুটির পর সোমবারই খুলছে সরকারি কার্যালয়গুলি। এদিকে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১২ তৃণমূল সদস্যের গণ ইস্তফা গৃহীত হয়নি। ইস্তফা প্রদানের প্রশাসনিক নিয়ম মেনে ইস্তফা প্রদান করেননি তাঁরা। সোমবার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তাদের অভিযোগের কথা শুনে পুরুলিয়া সদর মহকুমাশাসকের কাছে রিপোর্ট করবেন। তারপরই ওই সদস্যদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে গণইস্তফা কার্যকর করা যাচ্ছে না। দেবীপক্ষে জেলার রাজনীতিতে হইচই ফেলে গত ৪ ঠা অক্টোবর বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১২ সদস্য পুরুলিয়া সদর মহকুমা শাসক উৎপলকুমার ঘোষের কাছে গণইস্তফা দেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিডিও মিলিতভাবে দুর্নীতি চালাচ্ছেন।বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ২১। তার মধ্যে শাসকদলের ১৯। এরমধ্যে ১২ জনই সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে গণ ইস্তফা দেন।
এই বিষয়ে মহকুমাশাসক কোন কথা বলতে চাননি। এদিকে পুজোর পর গত শনিবার বলরামপুরের একটি ধর্মশালায় বিদ্রোহী সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব। সেই বৈঠকের পরেও ওই ইস্তফা দেওয়া তৃণমূলের সদস্যরাও একটি কথা বলতে চাননি। গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। দলীয় নির্দেশ মুখ বন্ধ রাখার। বলরামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ধনঞ্জয় মুর্মু বলেন, “বলরামপুর ব্লকের সমস্ত অঞ্চল এবং বুথ সদস্যদের উপস্থিতিতে বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১২ জন পদত্যাগী সদস্যদের কাছ থেকে তাদের পদত্যাগের কারণ জানতে চাওয়া হয়।” আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা রাখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
Post Comment