নিজস্ব প্রতিনিধি, হুড়া
গ্রামের কিশোরী অসুস্থ হওয়ায় তার পরিবার কোয়াক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সুস্থ হয়নি কিশোরী। বরং তার শরীরের আরও অবনতি হয়। ফলে তাকে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার হুড়ার বগদিশা গ্রামের কিশোরীর মৃত্যু হয়।
ওই কিশোরীর অসুস্থতার কারণ কি তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি ওই কোয়াক ডাক্তার। মৃত্যুর কারন জানে না স্বাস্থ্য দফতও। তবে এলাকার মানুষজন ও পরিবার বলছে, অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ওই কিশোরী মারা গিয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক
অশোককুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে শনিবার ওই গ্রামে যান। গ্রাম জুড়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কারও শরীরে জ্বরের নমুনা পাওয়া যায়নি । আর এখানেই প্রশ্ন স্বাস্থ্য দপ্তরের। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “ওই কিশোরীর আসলে কি হয়েছিল সেটাই তার পরিবার ও তার চিকিৎসা করা গ্রামীণ ডাক্তার বলতে পারেনি। তবে চিকিৎসাটা হয়েছিল টাইফয়েডের। কোয়াক ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামের লোকজনদের রক্ত পরীক্ষা করা হলেও জ্বর পাওয়া যায়নি।” স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই কিশোরীর নাম পায়েল মুদি (১৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ওই কিশোরী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যায়। তার পরিবারের লোকজনদের কথায়, জ্বর, মাথাব্যথা ছিল। এই কারণেই তাকে কোয়াক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, ওই কিশোরীর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর তার বমি হয়। তারপরেই তাকে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অজানা জ্বর বলে এলাকায় চাউর হয়ে যাওয়ায় শনিবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দপ্তরের দল যায়।
Post Comment