নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঘমুন্ডি:
সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগেই বাঘমুন্ডি এলাকায় বঞ্চনার ইস্যু তুলে বাঘমুন্ডি বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে জনসাধারণের
ক্ষোভপত্র সামনে আনে বিজেপি। যাকে বাঘমুন্ডি বিধানসভার মানুষজনের
‘চার্জশিট’ বলছে বিজেপি!
শুক্রবার অযোধ্যা পাহাড়ের হেলিপ্যাড রাস্তার পাশে এক সাংবাদিক বৈঠকে করে এই ২ পাতার ক্ষোভপত্র সামনে আনেন পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ওই ক্ষোভপত্রের উপরে
লেখা “সইবে না আর বাঘমুন্ডি।” বিজেপির ভাষায় এই ‘চার্জশিট’ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
যদিও এই বিষয়ে বাঘমুন্ডির
তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। যে ক্ষোভপত্রকে বিজেপি ‘চার্জশিট’ বলছে সেখানে বিশ্বের দরবারে স্থান করে নেওয়া ছৌ মুখোশ গ্রাম চড়িদা-র নাম-ই ভুল। অথচ ওই ক্ষোভপত্রে যাকে
‘চার্জশিট’ বলছে বিজেপি সেখানে ওই মুখোশ শিল্পীদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাই শাসক দল প্রশ্ন তুলেছে, মুখোশ গ্রামের নামই ভুল লিখে এ কেমন ‘চার্জশিট’ বিজেপি-র! সরব সাধারণ মানুষ থেকে মুখোশ শিল্পীরা। ওই ক্ষোভপত্রে মুখোশ গ্রামের বানানের নাম লেখা হয়েছে ‘চারিদা’।

সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাঘমুন্ডি এলাকা আজও উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এলাকায় স্কুল রয়েছে, কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে বিএমওএইচ নিয়মিত না থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকেন।” এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে বলেও দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক। টুরগা পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্পের মাধ্যমে বনাধিকার আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। শুধু তাই নয় বাঘমুন্ডির মানুষকে আজও আর্সেনিক মেশানো জল খেতে হচ্ছে। জাইকা পাইপ লাইন প্রকল্পে ফাটলের জেরে কৃষি জমি ডুবে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশার কারণে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠছে না। পর্যটন বিকাশের জন্য রোপওয়ে চালু করা ও গার্লস হোস্টেল তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আজও সেগুলির কোনও বাস্তব রূপ চোখে পড়ে না। সেই সব অপূর্ণ প্রতিশ্রুতির কথা চার্জশিটে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিধায়ক।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকেই চাইবে বলে দাবি করেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য রাকেশ মাহাত, জেলা বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি কেদার সিং মুড়া, বাঘমুন্ডি ব্লক কো-কনভেনার বিজয়ী সিংহ, মণ্ডল সভাপতি অরুণ চন্দ্র মাঝি সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাঘমুন্ডি এলাকা আজও উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এলাকায় স্কুল রয়েছে, কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে বিএমওএইচ নিয়মিত না থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকেন।” এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে বলেও দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক। টুরগা পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্পের মাধ্যমে বনাধিকার আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। শুধু তাই নয় বাঘমুন্ডির মানুষকে আজও আর্সেনিক মেশানো জল খেতে হচ্ছে। জাইকা পাইপ লাইন প্রকল্পে ফাটলের জেরে কৃষি জমি ডুবে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশার কারণে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠছে না। পর্যটন বিকাশের জন্য রোপওয়ে চালু করা ও গার্লস হোস্টেল তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আজও সেগুলির কোনও বাস্তব রূপ চোখে পড়ে না। সেই সব অপূর্ণ প্রতিশ্রুতির কথা চার্জশিটে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিধায়ক।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকেই চাইবে বলে দাবি করেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য রাকেশ মাহাত, জেলা বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি কেদার সিং মুড়া, বাঘমুন্ডি ব্লক কো-কনভেনার বিজয়ী সিংহ, মণ্ডল সভাপতি অরুণ চন্দ্র মাঝি সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।










Post Comment