বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, পুরুলিয়া:
ছুটির রবিবারে এবার এলার্ম বেজে উঠলো স্বর্ণ বিপনী তানিস্কে! এবারও সেই ৩ মিনিটের মধ্যে স্বর্ণ বিপণীতে পৌঁছে গেল পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশের মোবাইল ভ্যান। পৌঁছে গেলেন পুরুলিয়া সদর থানার আইসি শিবনাথ পাল। ১০ মিনিটের মাথায় অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও। এবারও প্রমাণ হলো পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সতর্কতা, তৎপরতা। সেই সঙ্গে স্মার্ট পুলিশিংও। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ জানতে পারলো সম্প্রতি কল্যাণের মতো এখানেও অসতর্কতাতেই প্যানিক বোতাম বা অ্যালার্ম বেজে ওঠে। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যান সিনহা রায় বলেন, “অসতর্কতার কারনেই ওই এলার্ম বেজে ওঠে। আমরা চটজলদি সেখানে পৌঁছে যাই। কন্ট্রোলরুমে ফোন আসার ৩ মিনিটের মধ্যে আমাদের মোবাইল ভ্যান সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। “
গত ৫ই সেপ্টেম্বর পুরুলিয়া শহরের দেশবন্ধু রোডে বি এড কলেজ লাগোয়া এলাকায় কল্যাণের শোরুমে সন্ধ্যায় এভাবে প্যানিক বোতাম বেজে উঠেছিল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল শহরে। খবর আসার পর ৩ মিনিটের কম সময়ে পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরে জানা যায় অসতর্কতায় ওই পানিক বোতাম বেজে ওঠে। এবারও পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সেই তৎপরতা-ই চোখে পড়ল।
কি হয়েছিল আজ ছুটির রবিবারে ? ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে দশটা। হঠাৎই কন্ট্রোল রুমে বিপদ ঘন্টা বাজতে থাকে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বর্ণ বিপণী দোকানের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে অ্যালার্মের সঙ্গে বিপদ ঘন্টা। ফলে কল্যাণের পাশে দেশবন্ধু রোডে তানিস্কে প্যানিক বোতামে অসতর্কতায় চাপ পড়তেই ঘন্টা বাজে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোল রুম কর্তৃপক্ষ শহরের মোবাইল ভ্যান সহ পুরুলিয়া সদর থানার আইসি ও থানায় জানিয়ে দেন। ১০:৩৩ মিনিটে গোশালার কাছে থাকা পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশের ভ্যান ওই স্বর্ণ বিপণীতে পৌঁছে যায়। ১০:৩৬- এ পৌঁছে যান আইসি। সেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়, ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) শাশ্বতী শ্বেতা সামন্তকে জানিয়ে দেন। ওই স্বর্ণ বিপনীর কর্মচারীদের সঙ্গে আইসি কথা বলে জানতে পারেন কোন রকম অসতর্কতাতেই ওই প্যানিক বোতামে হাত পড়ে এলার্ম বাজে। পুলিশের এই তৎপরতা দেখে বিপণী কর্তৃপক্ষ বাহবা জানায়।
Post Comment