অমরেশ দত্ত, মানবাজার:
নয় দিনের গড়পাথরমহড়ার রাস ঘিরে জমজমাট মানবাজার। আলোকমালায় রঙিন রাজপরিবারের রাস। বুধবার এই রাস ষষ্ঠ দিনে পড়ে।
প্রথম তিনদিন মন্দির থেকে রাধা-গোবিন্দকে রাসমঞ্চে আনা হয়। চতুর্থ দিনে আসেন রেবতী-বলরাম। পঞ্চম দিনে রাধা-মদনমোহন।
ষষ্ঠ দিনে রেবতী-বলরাম।
সপ্তম দিনে রাধা-গোবিন্দ,
অষ্টম দিনে কানাই-বলাই,
নবম দিনে রাই রাজা অর্থাৎ, বঙ্কবিহারী, গোপীনাথ, রাধা রানী, গোবিন্দকে রাস মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। মানবাজার জুড়ে একাধিক জায়গায় এই রাস উৎসব হয়। পেদ্দা গ্রাম ও মানবাজারের মাঝপাড়ার তিন দিনের রাস শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে ঝাড়বাগদার পাঁচ দিনের রাসও।গড়পাথরমহড়াতে এই রাস উৎসব উপলক্ষে বৈষ্ণব ধর্মালম্বী মানুষ তো বটেই এছাড়াও বহু দুরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন। প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন গড়পাথরমহড়া রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী এই রাস। প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে মানবাজার গড়পাথরমহড়া রাজবাড়ি একটি প্রসিদ্ধ স্থান।এখানের রাস উৎসব সকলের কাছে পরিচিত। ফি বছরের মতো এবারও ভিড় হচ্ছে।রাজাবাবু ও মন্দিরের সেবায়েত দেবাশীষ নারায়ণ দেব বলেন, “আমাদের মানবাজার গড়পাথরমহড়া রাজবাড়ির ২৫০ বছরের রাসযাত্রার ঐতিহ্য এখনও বজায় আছে। রীতি মেনে ন’দিন ধরে মহাসমারোহে পালিত হয় রাসযাত্রা। প্রতিদিন নাম সংকীর্তন হয়।” আগে এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হত। এখন অবশ্য নাচ-গানের অনুষ্ঠান হচ্ছে।
Post Comment